সাতক্ষীরা: শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আক্তার হোসেনের মোবাইল ফোনের সিম ক্লোন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে অর্থ দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে মোবাইলের মাধ্যমে এই অর্থ দাবি করা হয়।
এ সময় প্রতারক চক্রটি নির্দিষ্ট অংকের অর্থ দাবি করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে শিক্ষা সামগ্রী বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেয়।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি মুঠোফোন নম্বরের সঙ্গে মিল থাকা একটি নম্বর ব্যবহার করে সিরাজপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ জিএম আজিয়ার রহমানের মুঠোফোনে কল করা হয়। ইউএনওর নম্বরের সঙ্গে সেই নম্বরের মিল থাকায় অধ্যক্ষ আজিয়ার রহমান সালাম দিয়ে কথোপকথন শুরু করলে তার কাছে ৯ হাজার টাকা দাবি করা হয়। বিষয়টি গোপন রাখার নির্দেশনা দিয়ে বিনিময়ে তার প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ল্যাপটপ বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
একইভাবে দুপুরের দিকে উপজেলা সদরের জোবেদা সোহরাব মডেল একাডেমির প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তারও অভিন্ন অভিজ্ঞতার মুখে পড়েন।
প্রায় একই সময়ে উপজেলার গোবিন্দপুর কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষের মুঠোফোনে ‘সেই নম্বর’ থেকে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম অপর একটি নম্বর দিয়ে ইউএনওর মুঠোফোনে যোগাযোগ করে বিষয়টি প্রতারক চক্রের কাজ বলে নিশ্চিত হন।
একইভাবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করেও কয়েকজনকে ফোন করে প্রতারণার চেষ্টা করা হয়।
এ বিষয়ে ইউএনও মো. আক্তার হোসেন জানান, বিষয়টি এরই মধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরকে মৌখিকভাবে জানিয়ে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করতে নিদর্শনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন জানান, ইউএনওর মাধ্যমে তিনি প্রতারক চক্রের এই অপকৌশল ও প্রতারণা সম্পর্কে জানতে পারেন।
এ ঘটনায় থানায় জিডির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতারকচক্রের ফাঁদে পা না দিতে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এমএমজেড