মাগুরা: মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় এক নারীকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী বালিদিয়া এলাকার একটি বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবক ও তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই নারীকে উদ্ধারের পর তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ওই নারীর মা বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে মহম্মদপুর থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বালিদিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী কামাল মিনের বাড়িতে ওই নারীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে আকাশ নামে এক যুবক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজন সহযোগী হিসেবে কাজ করে। তারা সবাই পূর্ব পরিচিত বলে পুলিশ জানায়।
নারীর মা ও মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের দরিশালধা গ্রামের বিবাহিত এক নারীকে উত্ত্যক্ত করত পার্শ্ববর্তী নড়াইলের লোহাগড়ার লাহুড়িয়ার হেসলাগাতি এলাকার যুবক আকাশ শেখ (২০)।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই নারী নহাটা বাজারে গেলে কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের সামনে থেকে দরিশালধার লিটন মোল্যা, আমিনুর রহমান মোল্যা ও আকাশ দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে তাকে তুলে বালিদিয়ার দিকে নিয়ে যায়।
ধর্ষণের পর ওই নারীর গলার চেইন ও কানের দুল খুলে রেখে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় ওই চার যুবক।
এ ঘটনায় মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মা বাদী হয়ে থানায় চারজনের নামে মামলা করেন। পুলিশ নহাটার দরিশালধা গ্রামের আমিনুর রহমান মোল্যা (২৬), বালিদিয়া গ্রামের কামাল মিনে (২৫) ও লাহুড়িয়া গ্রামের আকাশ শেখকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরেক অভিযুক্ত দরিশালধা গ্রামের লিটন মোল্যা (৩০) পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, আটক তিনজনের কাছ থেকে গলা ও কানের স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত অপরজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, মামলার মূল আসামিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা তারা স্বীকার করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
আরএ