ভোলা: ভোলার মনপুরার মেঘনা নদীতে অপহরণের একদিন পর মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এসেছেন সাত জেলে।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) অপহৃত জেলেরা দস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে আসেন।
হাতিয়া ও মনপুরা কোস্টগার্ডের একটি টিম জেলেদের উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
তবে দস্যুদের ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে জলদস্যুদের আস্তানা থেকে ফিরে এসেছেন বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চর আতাউর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত সাত জেলেকে উদ্ধার করা হয়। জলদস্যুরা কোস্টগার্ডের উপস্তিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
উদ্বার জেলেরা হলেন- মো. বাবুল মাঝি (৩২), মো. ইসমাইল মাঝি (৩৫) মো. সোহেল সুকানি (৪০), মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৩৫), মো. সোহেল মুন্সি (৩৮), মো. রিয়াজ মাঝি (৩২) ও মো. বাছেত মাঝি (৪৫)। এদের সবার বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
এর আগে শনিবার ভোরে মনপুরার বাবুল মাঝিসহ মেঘনায় মাছ ধরছিলেন জেলেরা। সে সময় একদল জলদস্যুরা জেলেদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে জেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে দস্যুরা।
মনপুরা সাকুচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান অলি উল্লা কাজল জেলেদের বরাত দিয়ে বাংলানিউজকে জানান, জেলেদের অপহরণের পর মেঘনার একটি চরে হাত-পা বেঁধে জিম্মি করে রাখে দস্যুরা। তাদের ফেরত পেতে মুক্তিপণ দাবি করে দস্যুরা। পরে জেলেদের পরিবারের লোকজন ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে অপহরণ হওয়া জেলেদের উদ্ধার করে।
হাতিয়ার জলদস্যু মহিউদ্দিন বাহিনী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলেও জানান তিনি।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, জেলেরা মুক্তিপণ দিয়ে উদ্ধার হয়েছেন। আমরা বিষয়টির তদন্ত করছি, পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
এসআরএস