ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অধিকার আদায় এবং অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে ভাষা শহীদগণ আমাদের প্রেরণার উৎস।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করে তাঁরা আত্মত্যাগের যে গৌরবদীপ্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তার ফলাফল হয়েছে সুদূরপ্রসারী। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁদের আত্মত্যাগের ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম স্বাধীনতা যুদ্ধে। অর্জিত হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা-এই ঘোষণার বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় তৎকালীন পূর্ব বাংলার জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভের জন্ম হয়। বিশেষভাবে তৎকালীন পূর্ব বাংলার ছাত্রসমাজ আকস্মিক ও অন্যায্য এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি। ফলস্বরূপ বাংলা ভাষাকে সমমর্যাদার দাবিতে পূর্ব-বাংলায় আন্দোলন দ্রুত দানা বেঁধে ওঠে। ৫২’র ভাষা আন্দোলন বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণ দাবির চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটায় ছাত্ররা।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, দৈশিক চেতনাকে শাণিত করেছিল মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি। সেই চেতনা নস্যাৎ করে একদলীয় শাসনের জগদ্দল পাথর আজ জনগণের কাঁধের ওপর চাপানো হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি-একুশের চেতনার উত্তরাধিকারী হয়ে এদেশের সংগ্রামী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও মৃতপ্রায় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করতে অতিশীঘ্র বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবোই ইনশাল্লাহ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শহীদের মহিমান্বিত অবদানের কারণে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে। জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে অধিকতর সমৃদ্ধশালী করে তুলতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে, যাতে আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের পরম্পরায় সমৃদ্ধ সংস্কৃতিসম্পন্ন জাতি হিসেবে আমরা বিশ্ব সভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
এমএইচ/কেএআর