সাভার (ঢাকা): করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই সাভারের প্রধান কেন্দ্র হেলথ ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটে লাখ লাখ টিকা প্রত্যাশী মানুষের ভিড় দেখা গেছে। এই ভিড় সামাল দিতে ও কেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গিয়ে দুই স্বাস্থ্যকর্মীসহ তিন রেড ক্রিসেন্ট সদস্য আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই এমন ভিড় দেখা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, সাভার এলাকার একমাত্র এই টিকাকেন্দ্রে এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ ১২ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হলেও আজ অন্তত ১৮ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আরও টিকা দেওয়ার সক্ষমতা উপজলা স্বাস্থ্য খাতের আছে।
সরেজমিনে টিকাকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, টিকা নিতে যারা এসেছেন তাদের অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক। লাইনে গাদাগাদি করে তারা দাঁড়িয়ে আছেন, টিকাকেন্দ্রের প্রবেশ পথ বন্ধ থাকায় ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। পুলিশ সদস্যসহ টিকাকেন্দ্রের সেচ্ছাসেবকদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে। মাঝে মধ্যে টিকা প্রত্যাশীদের সামলাতে লাঠি ও বাঁশির ব্যবহার করছেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় চার-পাঁচজন রেড ক্রিসেন্ট সদস্য ও এক নারীকে আহত অবস্থায় বেডে করে তুলে টিকা কেন্দ্র থেকে বাইরে নিতেও দেখা গেছে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বাংলানিউজকে বলেন, আজ হঠাৎ টিকাকেন্দ্রে মানুষের ঢল নামে। মানুষকে সামাল দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। টিকাকেন্দ্রের ১৮ বুথে ৬০-৭০ জন কর্মী কাজ করেছেন। আমরা সবাইকে বারবার বলছি একটু ধৈর্য ধরুন সবাই টিকা পাবেন। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যকসিন আছে। কিন্তু কেউ কথা শুনছেন না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী ভিড় সামলাতে গিয়ে আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও ভলেন্টিয়ারের দায়িত্বে থাকা রেড ক্রিসেন্টরে দুই সদস্যও আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমাদের এই টিকা কেন্দ্র ছাড়াও অনেকগুলো স্থান আছে যেখানে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখানেই মানুষ এসে ভিড় জমাচ্ছে।
কী কারণে হঠাৎ টিকাকেন্দ্রে মানুষের ভিড় হলো? এমন প্রশ্নে ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, করোনার প্রথম ডোজ টিকা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণার কারণে এই ভিড় হতে পারে। তবে এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি।
সাভার থানার পরিদর্শক (ওসি) মমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আমাদের থানার সব ফোর্স এখানে যুক্ত করেছি। মানুষের পরিমাণ এতো বেশি যে শৃঙ্খলা বজায় রাখা কষ্টকর। তবুও আমাদের ফোর্স কাজ করে যাচ্ছে। আশা করছি সুন্দর ভাবে এ কার্যক্রম শেষ করতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
এসএফ/জেডএ