ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা

অপু দত্ত, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা পানি সংগ্রহ করছে একজন নারী। ছবি: বাংলানিউজ

খাগড়াছড়ি: আগে অনেক দূরে গিয়ে ছড়া, নালা বা কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করতে হতো খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামবাসীকে। সেই পানিতেই খাবার ও গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করতে কষ্ট পোহাতে হতো।

তাদের সেই সংকট লাগব করে দিয়েছে এলজিএসপি (লোকাল গর্ভনেন্স সার্পোট প্রকল্প) নামে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদ। তারা সৌর বিদ্যুৎ বা নবায়ন যোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে সুপেয় পানি ব্যবস্থা করেছে। পানির ব্যবস্থা পেয়ে খুশি গ্রামের বাসিন্দারা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছে সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের লোকাল গর্ভনেন্স সার্পোট প্রকল্প (এলজিএসপি)। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার ১ নম্বর লোগাং, ২ নম্বর চেঙ্গী, ৪ নম্বর লতিবান ও ৫ নম্বর উল্টাছড়ি মোট ৪টি ইউনিয়নের ১২টি এলাকায় ১৯ পাড়ার মানুষ সুপেয় পানির সুবিধা পাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা অতশী চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, আগে অনেক দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হতো। এখন সেই কষ্ট লাগব হয়েছে। খুব সহজে ঘরের নিত্যদিনের ব্যবহারের পানি নিতে পারছি।  

আফিসা খাতুন বলেন, আগেতো পাহাড়ের নিচে থেকে পানি আনতে হতো। দিনের বড় একটা সময় পানি সংগ্রহে যেত। এখন পুরো গ্রামের মানুষ পানির সুবিধা পেয়েছে। এখন আমরা অনেক খুশি।  

দুর্গম এসব এলাকার জনপ্রতিনিধিরা পানির সংকট নিরসনে এই প্রকল্প সম্প্রসারণের অনুরোধ জানিয়েছেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান কালাচাঁদ চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, পাহাড়ে এমনিতে পানির সমস্যা। দুর্গম এলাকার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। সোলারের মাধ্যমে এখন স্থানীয় খুব সহজে পানি সংগ্রহ করতে পারছে। আমরা চেষ্টা করবো। পর্যায়ক্রমে সব দুর্গম এলাকায় এটি স্থাপন করতে।  

এলজিএসপি ও ইউনিয়ন পরিষদ মিলে পানছড়ির ৪টি ইউনিয়নে ১১টি প্রকল্প বাস্তবায়নে ২৩ লাখ টাকা ব্যয় করে। এতে উপজেলার আড়াই হাজার পরিবার সুপেয় পানির সুবিধা পাচ্ছেন। বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে আরও দুর্গম এলাকায় এ ধরনের প্রকল্প নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। লোকাল গর্ভনেন্স সার্পোট প্রকল্পের জেলা ফ্যাসিলিটেটর অরুন দর্শী চাকমা বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা পানছড়ির চারটি ইউনিয়নে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে স্থানীয়দের নিত্য ব্যবহার করে। এই সংক্রান্ত ১২টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এতে ওই এলাকার প্রায় আড়াই হাজার পরিবার পানির সুবিধা পাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্য দুর্গম এলাকায় এই প্রকল্প নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

খাগড়াছড়ি জেলার এখনও অনেক এলাকায় পানির সু-ব্যবস্থা নেই, সেসব এলাকায় যেন এই ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয় এমনটাই চাওয়া এলাকাবাসীর।  

বাংলাদেশ সময়: ১০২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
এডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।