রাজশাহী: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তিতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের উদ্যোগে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলা-২০২২।

আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি চার দিনব্যাপী এই সাংস্কৃতিক মিলনমেলা উপলক্ষে রাজশাহীকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে।

রং-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন, আলোকায়ন, আলপনা, রাস্তার ডিভাইভারগুলোতে রঙের কাজসহ রাজশাহীকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। রাজশাহীতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠান আয়োজনের বিভিন্ন ভেন্যু পরিদর্শন করেন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

চার দিনবাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় অতিথিদের আগমন, ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় সিঅ্যান্ডবি মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল ১০টায় জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।

আমন্ত্রিত অতিথিদের অংশগ্রহণে বেলা সাড়ে ১১টায় নগরভবন গ্রিন প্লাজায় নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল সাড়ে ৪টায় আলোচনা সভা, সন্ধ্যা ৭টায় রাজশাহী কলেজ মাঠে বাংলাদেশ ও ভারতের খ্যাতিমান শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সবার ৯টায় বরেন্দ্র রিসার্চ মিউজিয়াম ও পুঠিয়া রাজবাড়ি পরিদর্শন, সকাল ১০টায় নাটোর উত্তরা গণভবনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ। সন্ধ্যা ৭টায় রাজশাহী কলেজ মাঠে জাতীয় ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

পরের দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন, ১০টায় তাহেরপুরে দুর্গামন্দির পরিদর্শন, দুপুর ১টায় বাঘা শাহী মসজিদ ও দরগা পরিদর্শন, বিকেল ৪টায় রাজশাহীতে প্রত্যাবর্তন ও চা চক্রে অংশগ্রহণ। ২৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগিতায় রাজশাহী কলেজ মাঠে মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

চার দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ত্রিপুরা রাজ্য সরকার, মাননীয় মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তি, দেশের মন্ত্রী, সাংসদ, রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন।

এই সাংস্কৃতিক উৎসবের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
এসএস/জেএইচটি