ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত সায়েম সোবহান আনভীর 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত সায়েম সোবহান আনভীর 

কলকাতা: ২২তম আন্তর্জাতিক মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড পেলেন বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর। বাংলাদেশে গণমাধ্যম জগতে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কলকাতার আইসিসিআর-এর সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে সায়েম সোবহানসহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য কলকাতার বিশিষ্টজনের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেয় মাদার তেরেসা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড কমিটি।  

১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা এই অ্যাওয়ার্ড পান।  

সায়েম সোবহান আনভীরের হাতে মাদার তেরেসার নামাঙ্কিত পদক তুলে দেন অ্যান্থনি বিশ্বাসসহ বিশিষ্টজনরা। তার হাতে আরও দেওয়া হয় একটি মানপত্র, মাদারের ছবিসহ স্মারক, কলকাতার নানাবিধ মিষ্টি ও উত্তরীয়।

পুরস্কার পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় বসুন্ধরা এমডি বলেন, মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আমি গর্বিত। এটা অনুভব করার মতো অনুভূতি। আমি আনন্দিত।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ৬ সেপ্টেম্বর এই সম্মাননা গ্রহণ করেছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। সেবার কলকাতার মহাজাতি সদনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়নে অবদানের জন্য তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দিয়েছিলেন সাবেক মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালথান হাওলা।

এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের বিধায়ক দেবাশীষ কুমারসহ বিশিষ্টজনেরা। উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরার ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের গণমাধ্যমগুলোর ঊর্ধ্বতনরা।  

একইসঙ্গে এদিন মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড পান বাংলাদেশের সাহিদা রহমান সেতু (সামাজিক), মো. আব্দুল আহাদ আকিল (শিল্প), মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম (প্রশাসন)।  

স্বাগত ভাষণে অ্যাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান অ্যান্থনি অরুণ বিশ্বাস বলেন, মাদারের মৃত্যু পর্যন্ত আমি তার সঙ্গে ছিলাম। আমিই প্রথম তাকে সন্ত উপাধি দেওয়ার জন্য ভ্যাটিকান সিটিতে চিঠি পাঠিয়েছিলাম।

অ্যান্থনি আরও বলেন, বিশ্বের এত শহর থাকতে মাদার তেরেসা কলকাতাকে বেছে নিয়েছিলেন। প্রথমদিকে তাকে প্রচণ্ড বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। তাকে গ্রামে পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হতো না। বাংলার জন্য অনেক বাধা উপেক্ষা কলকাতাকেই ওনার পথ চলার পাথেয় করে নিয়েছিলেন।  

তিনি বলেন, মাদার তেরেসার মৃত্যুর একবছর পর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবাবু ও তার সহযোগিতায় কলকাতায় প্রথম মাদার তেরেসার নামাঙ্কিত সড়ক ও মূর্তি কলকাতা পার্ক স্ট্রিটে স্থাপিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
ভিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।