রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীর টি-বাঁধ থেকে বুলুনপুর মোড় পর্যন্ত পদ্মাপাড়ের ওয়াকওয়ে আলোকায়নের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সুইচ চেপে ওয়াকওয়ের আলোকায়নের উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
তাই এবার টি-বাঁধ থেকে বুলুনপুর মোড় পর্যন্ত পদ্মাপাড়েও বইবে আলোর ঝর্ণা ধারা। পদ্মা নদী ঘেঁষে থাকা বিশাল ওয়াকওয়ের ৪০টি পোলে ৪০টি অত্যাধুনিক এলইডি বাতি জ্বলবে সন্ধ্যায়। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি বাতিগুলো অটোলজিক কন্ট্রোলারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন-অফ হবে। আলোকায়নের কারণে রাতেও স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারবেন দর্শনার্থীরা। বাড়বে দর্শনার্থী ও পর্যটকদের নিরাপত্তা।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু জানান, সম্প্রতি আলিফ লাম মিম ভাটার মোড় থেকে ছোট বনগ্রাম, মেহেরচণ্ডী, বুধপাড়া, মোহনপুর রেলক্রসিং হয়ে বিহাস পর্যন্ত রাজশাহী-নাটোর সড়ক পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিমমুখী ৬ দশমিক ৭৯৩ কিলোমিটার ৪ লেন সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। সড়কের দুপাশে ফুটপাথ, একটি ব্রিজ, আটটি কালভার্ট, মিডিয়ান ও ট্রাফিক কাঠামো নির্মাণ ও ৩২৭ দশমিক ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বরেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আলোয় দৃষ্টিনন্দন করা হয় রাজশাহীর পুরো বিমান সড়ক। মহানগরের বিহাস থেকে নাদের হাজির মোড় পর্যন্ত বিমান সড়ক খ্যাত দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতিতে আলোকায়নের বাকি অংশ উদ্বোধন করা হয় ওই দিন।
এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর প্রথম পর্যায়ে আলিফ লাম মিম ভাটার মোড় থেকে নাদের হাজির মোড় পর্যন্ত ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়কে ৮৭টি দৃষ্টিনন্দন পোলে ১৭৪টি অত্যাধুনিক এলইডি বাল্বের মাধ্যে আলোকায়নের উদ্বোধন করা হয়। যাতে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এছাড়া তারও আগে মহানগরের বিভিন্ন সড়ক দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতিতে আলোকায়ন করা হয়েছে।
মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা মোড় থেকে বিলসিমলা রেলক্রসিং পর্যন্ত চার দশমিক দুই কিলোমিটার সড়কটিতে ১৭৪টি দৃষ্টিনন্দন পোলে বাসানো হয়েছে ৩৪৮টি আধুনিক এলইডি বাল্ব।
বাতিগুলো প্রজাপতির মতো ডানা মেলে আছে। মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ উপশহর মোড় থেকে দড়িখরবোনা, কাদিরগঞ্জ, মহিলা কলেজ, মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি হয়ে সোনাদীঘি মোড় ও মালোপাড়া মোড় থেকে রানীবাজার মোড় পর্যন্ত সড়কে মোট ৯৬টি ডেকোরেটিভ পোলে ৯৬টি দৃষ্টিনন্দন এলইডি সড়কবাতি লাগানো হয়েছে।
দৃষ্টিনন্দন এ বিদ্যুৎসাশ্রয়ী বাতিগুলো অটোলজিক কন্ট্রোলারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন-অফ হয়। এছাড়া সম্প্রতি বড়কুঠি থেকে পঞ্চবটি শ্মশান ঘাট পর্যন্ত এলাকার পদ্মাপাড়ের ওয়াকওয়ে আলোকায়ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
এসএস/জেএইচটি