ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে সুবর্ণজয়ন্তী বৃত্তি ওয়েবসাইট চালু

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে সুবর্ণজয়ন্তী বৃত্তি ওয়েবসাইট চালু

ঢাকা: ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে সুবর্ণ জয়ন্তী বৃত্তি ওয়েবসাইট চালু করেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এ তথ্য জানায়।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর আমন্ত্রণে বিশিষ্ট আইসিসিআর স্কলার এবং আইটিইসির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ওয়েব সাইট চালুর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।   

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতে শিক্ষা ও পেশাদারিত্বের সুযোগ ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি ঐকান্তিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

২০২১ সালের  ২৬-২৭ মার্চ নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের সময় বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের জন্য এক হাজার সুবর্ণ জয়ন্তী বৃত্তি (আইসিসিআর ৫০০ আসন, আইটিইসি ৫০০ আসন)  ঘোষণা করা হয়েছিল। এই বৃত্তিগুলোর লক্ষ্য হল সেরা ও উজ্জ্বল প্রতিভাদের আকৃষ্ট করা এবং ভারতের নতুন শিক্ষানীতির অধীনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ দেওয়া।

এই লক্ষ্য পূরণে এই বৃত্তির জন্য একটি নিবেদিত ওয়েব পোর্টাল httpswww.sjsdhaka.gov.in  জনসাধারণের জন্য আজ উন্মুক্ত করা হয়েছে। এসজেএস ওয়েবসাইটটি আবেদনকারীদের আইসিসিআর ও আইটিইসি উভয় সাইটেই পথ নির্দেশনা দেবে।

 
১৯৫০ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ভারত ও অন্যান্য দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া জোরদার করার জন্য ভারতীয় সাংস্কৃতিক সম্পর্ক পরিষদ (আইসিসিআর) বৃত্তি চালু করেছিলেন। আর ভারতীয় কারগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা (আইটিইসি) কর্মসূচিটি ১৯৬৪ সালে চালু করা হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে পেশাদারদের জন্য জ্ঞান ও দক্ষতার আদান-প্রদান বৃদ্ধি করা।

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ভারতের আইআইটি, এনআইটি, নালসার, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রকৌশল, বিজ্ঞান, কলা, আইন, সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি স্তরে ২৬৭টি আইসিসিআর বৃত্তি পেয়েছিলেন। মহামারির কারণে কোনো সরাসরি কোর্স অনুষ্ঠিত না হওয়াতে ২৮৫ জন বাংলাদেশি পেশাজীবী ২০২১-২২ অর্থবছরে ই-আইটিইসি কোর্সের জন্য নথিভুক্ত করেছে।

 
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
টিআর/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।