সাভার (ঢাকা): সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে বিউটি আক্তার (৩৫) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর গলা কাঁটা উদ্ধারের তিনদিন পর হত্যার রহস্য উদঘাটন করে র্যাব-৪। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায় র্যাব-৪-এর সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।
এর আগে, ২২ ফেব্রুয়ারি সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের পুকুরপাড় এলাকার একটি বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেফতাররা হলো- মৌলভীবাজার বাজার জেলার রিপন (২৭) ও মুন্সিগঞ্জের জেলার সোহান (২০)।
নিহত বিউটি আক্তার সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানার চরপালাগাড়ী এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা এবং সাভারের তেতুঁলঝোড়া এলাকার একটি বাসায় একাই ভাড়া করে থাকতেন।
র্যাব জানায়, মামলা হওয়ার পর ঘটনাটি চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে র্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দা দল পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ায় র্যাবের সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে উক্ত চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মো. রিপন ও মো. সোহানকে আটক করা হয়।
র্যাব-৪ এর সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং ঘটনার বিবরণে জানা গেছে গ্রেফতার ব্যক্তিরা সেই হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। বিষয়টি নিয়ে তারা সেই মর্মে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। মূলত পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও স্বামীর ইন্ধনের কারণে গ্রেফতার ব্যক্তিদের দ্বারা অন্তঃসত্ত্বা বিউটিকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে আঘাত করে হত্যা করা হয়।
গ্রেফতার আসামীদেরকে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এই ধরনের নৃশংস অপরাধীদের বিরুদ্ধে র্যাবের জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
এসএফ/এসআইএস