রংপুর: বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে আগামীতে জুয়েলারি শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে। হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস আবারও ফিরে আসবে।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রংপুরের একটি হোটেলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) আয়োজিত রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
বক্তারা বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের কর্ণধার ও বাজুস'র সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকায় রিফাইনারি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন। যেখানে দেশের বাইরের তরল সোনা রিফাইনারি হয়ে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে বিস্কুট (বার) ও স্বর্ণালঙ্কার আকারে রপ্তানি হবে।
এর আগে, অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিরা আসন গ্রহণ করলে পবিত্র কোরআন শরীফ ও গীতা পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি গর্বিত ও সমৃদ্ধ একটি সংগঠন। বাঙালির চিরাচরিত ইতিহাস ও কৃষ্টি কালচারে এই শিল্পের সংযুক্তি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জুয়েলারি শিল্প এক সময় ভঙ্গুর হয়ে পড়েছিল। আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস ফিকে হয়ে পড়েছিল। ফলে এক পর্যায়ে আমরা দেশের ব্যবসায়ীদের আইকন, বিশিষ্ট দক্ষ ব্যবসায়ী নেতা সায়েম সোবহান আনভীরকে এই সংগঠনের দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ জানাই। তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে এই সংগঠনের দায়িত্ব নিয়ে নতুন নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিনি তরল সোনার রিফাইনিং প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন। তার নেতৃত্বে আমাদের হারিয়ে যাওয়া গৌরব পুনরুদ্ধার করবো। আমরা সংগঠিত হয়ে দেশের স্বর্ণ বাজারকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাজুসের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, রাজনীতি বা অন্য সেক্টরে যতটা না জটিল তার চেয়ে বেশি জটিল একজন সফল ব্যবসায়ী হওয়া। বাজুসের বর্তমান সভাপতি দক্ষ সংগঠক জুয়েলারি ব্যবসাকে দেশের পাশাপাশি বিশ্বের কাতারে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। আমাদের সকলকে সংগঠিত হয়ে তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। নিজেদের যেকোনো অশুভ শক্তির হাত থেকে বাঁচতে হলে আমাদের এ সংগঠনের সদস্য হতে হবে।
বাজুসের সহ-সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা নিজেদের জন্য বাজুসের সদস্য হবো। তাতে অযথা হয়রানি থেকে রক্ষা পাবো। আমাদের ওপর কোনো কুচক্রি মহলের দৃষ্টি পড়লে তা প্রতিহত করবে বাজুস।
সভাপতির বক্তব্যে বাজুস রংপুর জেলা শাখার সভাপতি এনামুল হক সোহেল বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাই। একসঙ্গে মিলেমিশে জুয়েলারি শিল্পের ইতিহাস বদলে দিতে চাই। আমাদের নতুন নেতৃত্ব দেশের আইকন সায়েম সোবহান আনভীর জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন। তরল সোনা রিফাইন করে বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা করছেন। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবো।
এছাড়াও বক্তব্য দেন মিজানুর রহমান মানিক- মেম্বার সেক্রেটারি মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স, জয়নাল আবেদিন খোকন, মেম্বার সেক্রেটারি, মনিটরিং অফ ডিস্ট্রিক্ট অর্গানাইজেশন, রেপুনুল হাসান, মেম্বার সেক্রেটারি, ল অ্যান্ড মেম্বারশিপ, এস কে আবু সোহেল, পিএস টু প্রেসিডেন্ট।
এতে বাজুস রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রাজু, বাজুস দিনাজপুর জেলা সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোকলেছার রহমান, বাজুস লালমনিরহাট জেলা সভাপতি হিমাংশু সরকার, লালমনিরহাট জেলা সাধারণ সম্পাদক দুলাল চন্দ্র কর্মকার, বাজুস নীলফামারী জেলা সভাপতি সামছুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, বাজুস ঠাকুরগাঁও জেলা সভাপতি খোকন কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, পঞ্চগড় জেলা সভাপতি নবীন চন্দ্র বণিক, সাধারণ সম্পাদক মধুসুদন বণিক, বাজুস গাইবান্ধা জেলা সভাপতি শ্রী মনিদ, সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম সঞ্জু, কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি দুলাল চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক বাদল সাহা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগের আট জেলার ৪৯টি উপজেলার বাজুসের সদস্যরা এবং বিভিন্ন জেলার নেতারা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
এনটি