ঢাকা: বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়াদে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বিজনেস হাব করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল, দুবাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মাহাতাবুর রহমান (নাসির) সিআইপি। এজন্য সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েচেন তিনি।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ের আজমানের নিউ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায় আল হারমাইন পারফিউম ফ্যাক্টরিতে এফবিসিসিআই বিজনেস ডেলিগেশনের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআই বিজনেস ডেলিগেশন প্রধান ও সংগঠনের সহ-সভাপতি এমএ মোমেন বলেন, এখন সময় এসেছে স্ট্রাটেজিক পাটর্নার করার। ছোট আকারে হলেও ওয়ান টু ওয়ান পাটর্নারশিপ করতে হবে। করোনার পরে যেসব চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে সেগুলো মোকাবিলার জন্য ব্যবসা বহুমুখীকরণ ও পার্টনারশিপের বিকল্প নেই। আমাদের দেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরে অনেক প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। তাতে পিছিয়ে পড়লে এক সময় আফ্রিকাও আমাদের হারাতে পারে।
আল হারমাইন পারফিউমস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মাহাতাবুর রহমান নাসির বলেন, দুবাই হচ্ছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের ব্যবসা হাব। এখান থেকেই বিশ্ব ক্রেতারা তাদের বিভিন্ন পণ্যের ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন। কারণ এখানে আশপাশের যেসব দেশের ক্রেতারা আসেন তারা বাংলাদেশে গিয়ে আপনাদের কাছে ১০০ কন্টেইনার একই পণ্যের অর্ডার দেবে না। তারা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য ১০০ ডজন, ২০০ ডজন, ১ কন্টেইনার ২ কন্টেইনার করে অর্ডার করবে। তাই আপনারা যদি এফবিসিসিআই থেকে বিজনেস হাব করেন আমি বিজনেস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করব।
তিনি বলেন, দুবাইতে বিজনেস হাব করে প্রতিনিধি রেখে ওয়্যারহাউজে ১-২ কন্টেইনার করে পণ্য সংরক্ষণ করুন। তখন ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এখান থেকে সবাই পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, আমার বলা ঠিক হবে না, তারপরও বলি আপনারা দুবাইয়ের মার্কেট কাজে লাগান। মধ্যপ্রাচ্যের বাজার ধরুন। মধ্যপ্রাচ্য অনেক বড় বাজার। এটাকে ফোকাস করুন। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পাত্তাই দেয় না। অনেক চেষ্টা করেছি তারপরে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি দুবাইতে শিপিং শুরু হয়েছে। এখন আবুধাবির সঙ্গে একটা চুক্তি সই হয়েছে, প্রথমে সপ্তাহে বাল্ক আকারে শিপ আসা শুরু হবে। জুন-জুলাই থেকে কন্টেইনার আসা শুরু হলে আপনারা যারা গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আছেন তারা যেসব পণ্য রপ্তানি হয় সেগুলো দুবাইতে পাঠাতে পারবেন।
এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মাহাতাবুর রহমান নাসির সিআইপি আরও বলেন, বাংলাদেশে যেটুকু আমদানি এবং রপ্তানি হচ্ছে সেটা একমাত্র আমরাই করছি। আমরা দেশটাকে সবার কাছে নিয়ে যেতে চাই। কারণ দেশটা আমাদের। তাই এমন কিছু করব না যাতে দেশের ক্ষতি হয়। টাকা পাচার না করে দেশে বিনিয়োগ করলে দেশ লাভবান হবে। বিদেশে নেওয়ার কোনো দরকার নেই। বাংলাদেশে রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট সবচেয়ে বেশি।
এসময় এফবিসিসিআইর ডেপুটি সেক্রেটারি নুরে আলম সিদ্দিকী, উইমেন চেম্বারের পরিচালক ও ফ্যাশন ডিজাইনার নুর এ জান্নাত, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশেনর এজিএম আব্দুল কাইয়ুম রাশেদ, ই-ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শাহাবুদ্দিন, সায়েরাহ টেক্সটাইলের এমডি শরীফুল ইসলামসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫,২০২২
এসই/এমএমজেড