ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাটে অস্ত্রের মুখে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
বাগেরহাটে অস্ত্রের মুখে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ

বাগেরহাট: বাগেরহাটে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪)  অস্ত্রের মুখে গণধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে কচুয়া উপজেলার কলমিবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে স্থানীয় চার বখাটে ওই শিক্ষার্থীর ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে পরিবার। এদিকে ধর্ষকদের আটক করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

নির্যাতিতা কিশোরী জানিয়েছে, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাবা-মা তার বড় বোনের বাড়ি বেড়াতে যায়। সেই সুযোগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এজাজুল মোল্লা, সোহেল শেখ, টিপু শেখ ও সজিব মোল্লা জোরপূর্বক ঘরে ঢোকে। পরে তারা গলায় ছুরি ধরে এবং দড়ি দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। তাদের নির্যাতনে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

অভিযুক্ত ধর্ষক এজাজুল মোল্লার (২২) বাবার নাম কাদের মোল্লার, সোহেল শেখের (২২) বাবার নাম আজাহার শেখ, টিপু শেখের (২৫) বাবার নাম ইউসুফ শেখ এবং সজিব মোল্লার (২৫) বাবার নাম বারেক মোল্লা। তাদের সবার বাড়ি কলমিবুনিয়া গ্রামে। এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় অনেক মেয়ের সাথে এর আগেও তারা খারাপ ব্যবহার করেছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্লা।

তিনি বলেন, বাঁধাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকিব ফয়সাল অহিদসহ আমরা সবাই মিলে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। আমরা ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি চাই।

ভিকটিমের বাবা বলেন, প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা বাড়িতে আসি। মেয়ের কাছে বিষয়টি শুনে স্থানীয় জন প্তিনিধিদের সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমি মেয়ের ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। এই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স তুলশী রানী বিশ্বাস বলেন, মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধর্ষণের ফলে সে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছি।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক পরীক্ষায় মেয়েটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছি।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আছাদুজ্জামান বলেন, খবর শুনে নির্যাতিতা মেয়েটিকে দেখতে হাসপাতালে এসেছি। অভিভাবকদের ভয় না পেয়ে মেয়েটির চিকিৎসা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ  সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।