কক্সবাজার: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উত্তর হারবাং এলাকায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বনকর্মীদের সহযোগিতায় কয়েক হাজার গাছ কেটে সাবাড় করার অভিযোগ উঠেছে।
বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে একটি প্রভাবশালী চক্র এই অপকর্মে জড়িত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের চুনতি রেঞ্জের হারবাং বন বিটের উত্তর হারবাং করমমুহুরীর লম্বা ঘোনা এলাকায় বনবিভাগের ১৫০ একর আয়তনের সৃজিত আকাশমনী বাগান রয়েছে। ওই বাগান থেকে প্রকাশ্যে একমাস ধরে গাছ কাটা হচ্ছে। এলাকার প্রভাবশালী আবদুল মালেক ও নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে এই বনের গাছ লুটের ঘটনা ঘটছে।
এ নিয়ে স্থানীয় লোকজন বন বিভাগের কাছে গাছ উজাড়ের তথ্য দিয়ে উল্টো হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগও রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গাছ কাটার বিষয়টি বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানানো হলে এই তথ্য গাছ লুটকারীদের কাছে পৌঁছে যায়। এতে উল্টো হয়রানির শিকার হতে হয়।
তবে গাছকাটার অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত আবদুল মালেক। তিনি বলেন,‘আমি গাছ ব্যবসায় জড়িত। কাটার সঙ্গে এলাকার কিছু ছেলে রয়েছে। সেখানে নাছিরের পাঁচ একর বাগান থেকে আমি গাছ কিনেছি বলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে।
বনবিভাগের জমি নাছিরের কীভাবে হলো জানতে চাইলে মালেক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
তবে বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট বিটের কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান বর্তমানে হারবাং বনবিট ও চুনতি রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তার দায়িত্ব রয়েছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বনবিভাগের জবর দখলে যাওয়া কিছু পাহাড় থেকে গাছ কাটার খবর পেয়েছি। এসব বন জবরদখলকারীরা সৃজন করেছেন।
রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান আরও বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৩০০ ঘনফুট গাছ জব্দ করা হয়েছে। গাছ পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
বনবিভাগের চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক(সিএফ) বিপুল কৃষ্ঞ দাস বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
এসবি/এসআইএস