ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে পার্ক মালিক কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে পার্ক মালিক কারাগারে

যশোর: যশোরের মনিরামপুরে এক স্কুলছাত্রীকে পার্কে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় আল আমিন আনন্দ বিনোদন পার্কের মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেলে মনিরামপুর থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা। পরে পার্ক মালিক আবদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।

ভুক্তভোগী ওই মেয়েটি অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা দিনমজুর ও মা যশোরের অভয়নগরে একটি পাটকলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তারা ওই পার্কের পাশেই একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন।

ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা হওয়ায় আব্দুর রহমান তার মেয়ের পরিচিত। প্রায়ই তার মেয়ের সঙ্গে কথা বলতেন আব্দুর রহমান। তারা বাড়িতে না থাকার সুবাদে আব্দুর রহমান তার মেয়েকে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে গত বছর ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ সন্ধ্যায় পার্কের ভেতরে ডেকে নিয়ে যান। এরপর পার্কের একটি কক্ষে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পর আব্দুর রহমান তার মেয়েকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি দেখান। ঘটনাটি কাউকে জানালে তিনি তাকে (ছাত্রী) খুন করার হুমকি দেন।

এদিকে, গত শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আব্দুর রহমান আবারও মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে পার্কের ভেতরে ডেকে নিয়ে যান। একই ঘরে তিনি তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে মেয়েটির চিৎকার শুনে তার মা এগিয়ে আসেন এবং মেয়েকে উদ্ধার করেন।

মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী মো. মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, স্কুলছাত্রীকে একদিন ধর্ষণ ও আরেক দিন ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পার্ক মালিক আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এরপর তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার জবানবন্দি রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলাদেশ সময়:  ১১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
ইউজি/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।