ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা গ্রামের রেনুকা খাতুন নামে এক নারীর সঙ্গে মোবাইলে প্রতারণার মাধ্যমে নগদ টাকা ও স্বর্ণালাংকার হাতিয়ে নেওয়ার আভিযোগে ‘জ্বীনের বাদশা’ চক্রের ৪ সদস্যকে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গ্রেতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম।
গ্রেফতাররা হলেন- গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের মিন্টু পদ্দারের ছেলে মো. রায়হান হোসেন (২৫) ও মো. তুহিন হোসেন (২০), একই গ্রামে আজল হকের ছেলে মো. জিয়াউর রহমান (২২) ও শাকপালা গ্রামের শ্রী নারায়ন দাসের ছেলে মিলন দাস (৩৫)।
অভিযোগে জানা যায়, আপনি ভাগ্যবান, আল্লাহর তরফ থেকে আপনাকে একটি বড় সম্পদ দান করা হয়েছে। আপনার বাড়ির পাশের পুকুরে ৭ কলস স্বর্ণ রাখা আছে। স্বর্ণ পেতে হলে হাদিয়া স্বরূপ একটি জায়নামাজ ও একটি নগদ অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে টাকা পাঠাতে হবে বলে জানায় জ্বীনের বাদশা। এরপর গত বছরের ৩ ডিসেম্বর থেকে গত ৩ মাস ধরে ওই নারীর কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে ৪ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে ওই নারী গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করে। মামলা দায়েরের পর ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল বিকাশ ও নগদ একাউন্টের সূত্র ধরে প্রতারকদের চিহ্নিত করে অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের দুর্গম এলাকা থেকে রায়হান, তুহিন, জিয়াউর ও মিলন দাসকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
এনটি
