ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খাল খননে নতুন স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
খাল খননে নতুন স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা খাল খনন চলছে। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: সেচ কাজের সুবিধার্থে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় খাল খননের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কৃষকরা নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন।

বিশেষ করে ইরি-বোরো মৌসুমে এর ফলে জমিতে সেচকাজ পরিচালনা সহজলভ্য হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।

জানা গেছে, সম্প্রতি ৬৪ জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন (১ম পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় খাল খনন কাজ শুরু করা হয়।  
এ প্রকল্পের স্থান সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করেছিলেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার খাল খনন করা হচ্ছে।

এছাড়াও উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের কালুরপাড় থেকে রত্নপুর ইউনিয়নের বারপাইকা হয়ে মোল্লাপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার খাল খননের কাজ শুরু করা হয়েছে।

বারপাইকা গ্রামের কৃষক সমরেশ দাস জানান, এই জনগুরুত্বপূর্ণ খালের পানির ওপর এখানকার ইরি-বোরো ব্লকের প্রায় ২ হাজার একর জমি নির্ভরশীল।

এই খাল কাটার পর থেকে খালটি কখনও পুনঃখনন করা হয়নি। ফলে খরস্রোতা খালটি দুইপাশের মাটি জমে মরে যায়। পানির অভাবে অনেক জমির বোরো চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে।

অনিতা বালা নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, খালটির নাব্যতা সংকটের কারণে বোরো চাষের ওপর নির্ভরশীল চাষিদের পরিবারও চরম সংকটের মধ্যে দিন পার করছিলেন। তবে, খাল খনন হয়ে গেলে ও পানির প্রবাহ ঠিক থাকলে আগামীতে আবারও ক্ষেতগুলো বছরজুড়ে ফসলে ভরে থাকবে। কৃষকের মুখেও হাসি ফুটবে।

কৃষক সুমন্ত রায় বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও বর্তমান সরকারের মহতী উদ্যোগে খালটি পুনঃখননের কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যতটুকু খাল পুনঃখনন করা হয়েছে তাতেই এখন এলাকাবাসী মরা খালে পানির যৌবন ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছেন।

খাল খননের ফলে দুটি ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের ১৫ হাজার কৃষক উপকৃত হবেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ ব্যাপারেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী নাঈম মিয়া বলেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সেচ কাজের জন্য খালগুলো খনন কাজ শুরু করেছে। তারই অংশ হিসেবে খাল খননের কাজ আগৈলঝাড়ায়ও শুরু রয়েছে। খাল খননের ফলে এই এলাকার চাষিদের ধান চাষে আর পানির সমস্যা থাকবে না। কাজের মান সরেজমিন দেখে ভালো মনে হচ্ছে। কাজ দেখার জন্য প্রতিদিনই গৌরনদী অফিস থেকে আমাদের লোকজন তদারকি করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
এমএস/এএটি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।