যশোর: যশোরে তিন কিশোরকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে ছয়জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৬) যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা।
এ সময় তিন কিশোরকে উদ্ধার এবং আটক ছয়জনের কাছ থেকে তিনটি ককটেল ও তিনটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক ৬ জন হলো- নাজির শংকরপুর চাতালের মোড়ের সলেমান শরীফের ছেলে আফজাল শরীফ (২৮), আব্দুর রহিমের ছেলে রুহুল আমিন (১৮), নাজির শংকরপুর মধ্যপাড়ার জাহিদুল ইসলাম গিট্টুর ছেলে ইমরান (২০), নাজির শংকরপুর চাতালের মোড়ের হীরণ কাজীর ছেলে নাইম (২১) এবং ইয়াসিনের দুই ছেলে মোস্তকিন (১৭) ও রাব্বি (১৫)।
উদ্ধার তিনজন হলো, নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার আব্দুল জলিলের দুই ছেলে সাগর (১৭) ও জাহিদুল ইসলাম (১৬) এবং বকচর হুসতলার মিজানুর রহমানের ছেলে মাসুম বিল্লাহ (২৫)।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
র্যাব জানিয়েছে, আটকরা বিভিন্ন কিশোরদের আটকে রেখে তাদের মারধর করে। সেই মারধরের ভিডিও পরিবারের সদস্যদের দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে থাকে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে দুই ভাই সাগর ও জাহিদুল নাজির শংকরপুর চাতালের মোড়ে ঘুরতে বের হয়। সেসময় আসামি ৬ জনসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও বেশ কয়েকজন তাদের আটকে রেখে মারধর করে। সাগরের পকেট থেকে নগদ ১ হাজার ৭শ টাকা কেড়ে নেয়। এরপর আরও ৩ হাজার টাকার জন্য সাগরের বোনের মোবাইলফোন নম্বরে ফোন দেয়।
সাগর টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে তাকে ছেড়ে দিয়ে জাহিদুলকে আটকে রাখে। পরে সাগরের বাবার টাকা নিয়ে ওইদিন সন্ধ্যার দিকে চাতালের মোড়ে ঘোরাফেরা করতে থাকে। সেসময় র্যাব সদস্যদের জানালে র্যাব সদস্যরা তাদের অবস্থান জানার চেষ্টা করে।
অপহরণকারীদের কথা মতো সাগরের বাবা টাকা নিয়ে ওইদিন রাত পৌনে দুইটার দিকে নাজির শংকরপুর মাঠপাড়া সুপারি বাগান এলাকার মুজিবুর রহমানের বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত টিনশেডের মধ্যে যায়। র্যাব সদস্যরাও পিছু নিয়ে সেখানে গিয়ে ছয়জনকে আটক করে। অবশ্য র্যাবের উপস্থিতি দেখে অনেকে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে জাহিদুল ও মাসুম বিল্লাহকে উদ্ধার করে র্যাব। র্যাব পরে জানতে পারে মাসুম বিল্লাহকেও আটকে রেখে কাছে আসামিরা ২০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে ওই ঘর থেকে তিনি ককটেল ও তিনটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
ইউজি/এএটি