পঞ্চগড়: মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে (কোভিড-১৯) দীর্ঘ দুই বছর বাংলাদেশ-ভারত ভ্রমণ ভিসা বন্ধ থাকার পর যৌথভাবে পুনরায় বাংলাদেশ-ভারত ভ্রমণ ভিসা চালু করেছে দুই দেশের সরকার।
এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভ্রমণ ভিসায় যাতায়াত শুরু হলেও দেশের সর্ব উত্তরের একমাত্র চতুর্দশীও স্থলবন্দর (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান) প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভ্রমণ ভিসায় যাত্রী পারাপারের অনুমতি পায়নি এখনো।
বুধবার (৬ এপ্রিল) রাত ৮টায় বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, ইমিগ্রেশন) নজরুল ইসলাম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে দুই বছর ধরে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনসহ সব ইমিগ্রেশনে ভ্রমণ ভিসা বন্ধ ছিল। সরকার আবার ভ্রমণ ভিসা চালু করলেও বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে ভ্রমণ ভিসায় যাত্রী পারাপার বিষয়ে আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত কিংবা নির্দেশনা পাইনি। যদি সরকার বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে টুরিস্ট ভিসা চালু করে তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
খবর নিয়ে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন দিয়ে ভ্রমণ ভিসা চালু হলেও দেশের একমাত্র চর্তুদেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভ্রমণ ভিসাধারী যাত্রী পারাপার শুরু হয়নি। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন গোটা উত্তরবঙ্গের মানুষ ও এ ইমিগ্রেশন দিয়ে নিয়মিত পারাপার হওয়ায় পর্যটকরা।
জানা যায়, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক ও ভ্রমণ পিপাসুরা ভারতে যাতায়াত করেন। শুধু বেড়াতেই নন উত্তর বঙ্গের অনেক মানুষের আত্মীয় স্বজনের বসবাস ভারতের শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়িসহ ভারতের আশপাশের জেলায়। ভারতের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান শিলিগুড়ি, সিকিম, গ্যাংকটক, দার্জিলিং, নেপাল ও ভুটান এ স্থলবন্দর থেকে কাছাকাছি হওয়ায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পর্যটকদের কাছে এ স্থলবন্দরটি। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে ২ বছর আগে বন্ধ হয়ে যায় ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মানুষদের মধ্যে যাতায়াত। পরবর্তীকালে প্রাথমিকভাবে মেডিক্যাল ও ব্যবসায়িক ভিসা সরকার চালু করলেও বন্ধ থাকে ভ্রমণ ভিসা। ফলে করোনাকালে প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত ১৫ নভেম্বর থেকে ভাতের টুরিস্ট ভিসা চালু করা হয়। তবে সেটা ছিল শুধুমাত্র আকাশ পথে।
দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত ৩০ মার্চ থেকে বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন দিয়ে টুরিস্ট ভিসার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে অনুমতি কিংবা টুরিস্ট ভিসার সিদ্ধান্ত মিলেনি একমাত্র চতুর্দেশীয় এ স্থলবন্দরের। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে গোটা উত্তর বঙের মানুষসহ টুরিস্ট ভিসাধারীরা। অনেকের শেষ হয়ে যাচ্ছে পাসপোর্টের মেয়াদও।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি-রপ্তানির পাশাপাশি ইমিগ্রেশন দিয়ে মেডিক্যাল ও ব্যবসায়িক ভিসা চালু রয়েছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম চলছে। সরকার বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনে ভ্রমণ ভিসা চালুর অনুমতি দিলে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২২
এনটি