মাদারীপুর: ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঘরে ফিরতে হবে। তিন/চারটি ব্যাগ ঈদযাত্রার সঙ্গী।
এসব বাহনে উঠতে ভাড়া নিয়ে দর কষাকষি করতে গেলেই পিছিয়ে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। বাড়তি ভাড়া দিয়েই উঠে বসতে হচ্ছে ছোট ছোট বাহনগুলোতে!
যাত্রা পথের ক্লান্তিতে বাড়তি ভাড়া গুণেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে যাত্রীদের।
ঘরমুখো যাত্রী মো. সায়েম বলেন, রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুর যাব। থ্রি-হুইলার ছাড়া উপায় নাই। দ্বিগুণের বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে। ৮০ টাকার ভাড়া ২০০ টাকা।
পলি আক্তার নামের শিবচরের শিরুয়াইলের এক যাত্রী বলেন, ইজিবাইকে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। বাড়তি ভাড়া না দিলে যেতে চাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়েই যেতে হচ্ছে।
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে রোববার (১ মে) ভোর থেকেই শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড় রয়েছে। লঞ্চ, ফেরি আর স্পিডবোটে করে পদ্মা পার হয়ে আসছেন হাজারো যাত্রী। বাংলাবাজার ঘাটে নেমে দূরপাল্লার পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়ার টিকিট কেটে গন্তব্যের গাড়িতে উঠছেন তারা। দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি স্বল্প দূরত্বের ছোট যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন চালকরা। বিশেষ করে ঘাট থেকে কাছাকাছি দূরত্বের যাত্রীদের তিনগুণ ভাড়া দিয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে। ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, ভ্যান, অটোরিকশা, মাহিন্দ্রা গাড়িতে ১০০ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। ২০ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ৫০ টাকা। যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় বাধ্য হয়েই যেতে হচ্ছে যাত্রীদের।
ইজিবাইকচালক মো. লাভলু বলেন, ঈদের সময় একটু বাড়তি উপার্জনের জন্য ভাড়া বেশি নিই। ঈদের পরে আবার আগের ভাড়াই নেওয়া হয়। যাত্রীরাও খুশি হয়েই দেয়।
আরেক চালক মো. হান্নান বলেন, সারা বছরই স্বাভাবিক ভাড়া রাখি। ঈদের সময় সবারই বাড়তি খরচ হয়। আমরা দরিদ্র মানুষ। এসময় একটু বাড়তি ভাড়া নিয়ে থাকি।
পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ। বাড়ি ফিরতেই হবে। বাড়তি ভাড়াসহ শত ভোগান্তি মাথায় নিয়ে হাসি মুখে ফিরছেন তারা।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিরাজ হোসেন জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ রয়েছে। যাত্রীরা যাতে ঘাটে হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে বিশেষ নজরও রাখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২২
এসআই