ঢাকা : ঈদ শেষ হয়েছে পাঁচদিন হলো, কিন্তু নগরীতে রয়েছে গেছে উৎসবের আমেজ। শুক্রবার (১৫ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত রাজধানী ফাঁকা থাকলেও বিকেল থেকে জমে ওঠে বিনোদনকেন্দ্রগুলো।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন তার ওপর ঈদের রেশ না কাটায় হাতরঝিলে বেশি জনসমাগম হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন অনেকেই। নানা বয়সী মানুষকে এ এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরতে দেখা গেছে।
খোলা আকাশ, রঙিন বাতি, ঝিলের পানিতে নৌকায় ঘুরে বেড়ানো- দৃশ্যগুলো পরিবেশকে বেশ উপভোগ্য করে তোলে। গুলশান, রামপুরা, পুলিশ প্লাজা ও এফডিসি ঘাট থেকে ঝিল ঘুরতে ছিল ওয়াটার ট্যাক্সির ব্যবস্থা। বিপুল দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করতে হয়েছে টিকিট।
অনেকে ঝিলের ধারে বসে গল্প করেছেন, অনেকেই হেটে বেড়িয়েছেন প্রিয় মানুষটিকে সঙ্গে করে। বিকেলে শিশুদের হাতিরঝিলের ভাস্কর্যের উপরও দেখা গেছে খেলা করতে। ঝিলের ওয়ানস্টপ ব্রিজগুলোয় ছিল বিনোদন প্রেমীদের ভিড়।
রাসেল আহমেদ নামে এক দর্শনার্থী বলেন, স্ত্রী আর দুই মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। ওয়াটার ট্যাক্সিতে চড়তে পেরে তারা সবাই খুশি। প্রতিদিনই হোসেন মার্কেট থেকে গুলশানে অফিস করতে যাওয়ার পথে ওয়াটার ট্যাক্সিগুলো দেখি। এবার পরিবারের সবাই মিলে ওয়াটার ট্যাক্সি করে হাতিরঝিলে চক্কর দিলাম। ভালো লাগছে বেশ।
সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়তেই ঈদ আনন্দ-আড্ডায় মেতে উঠে মানুষ। স্থানীয় খাবারের দোকানগুলোয় ছিল বেশ ভিড়। ভারতের জনপ্রিয় খাবার দোসা, চিকেন, কাবাব কম দামে প্যাকেজ আকারে বিক্রি হচ্ছে এখানে। হাতিরঝিলের লেকপাড়ের গোল চত্বরে মানুষের ভিড় দেখে মনে হয় যেন মেলা বসেছে।
ঈদের ছুটিতে যারা ঢাকার বাইরে যাননি তাদের অনেকেই এসেছেন হাতিঝিলে। তেমনই একজন রামপুরার বাসিন্দা হাফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত ঈদে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম, এবার যাওয়া হয়নি। তাই পরিবার নিয়ে বাসার পাশের হাতিরঝিলেই সময় কাটাচ্ছি। আর ঢাকা শহরে শিশুদের তো আর খেলার কোনো ভালো জায়গা নেই। এখন হাতিরঝিল হওয়াতে কিছুটা রক্ষা। এখানে এসে শিশুরা অনেক মজা পায়।
হাতিরঝিলের ভেতর লেকের মধ্যে বিনোদনপ্রেমীদের জন্য চলছে হয়েছে আনন্দ নৌ ভ্রমণ প্যাকেজ। মেরুল বাড্ডামুখী লেকের টিকিট কাউন্টারে দেখা যায় দীর্ঘ লাইন। সেখানে কাগজে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে লেখা রয়েছে ৮০ টাকায় নৌ ভ্রমণ প্যাকেজ। লেকের ভেতর নৌকাতে ৩০ মিনিট ঘোরা যাবে এই প্যাকেজের আওতায়।
বাংলাদেশ সময় : ১৯৪৮ ঘণ্টা, ১৫ জুন, ২০২২
এইচএমএস/এমজে