পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুরে সড়ক নির্মাণে ভবনের পুরোনো ইট ব্যবহার করছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিপাগলাস্থ পরিষদ সংলগ্ন থেকে দীঘিরজান পর্যন্ত নির্মাণাধীন রাস্তার সাব বেইজ তৈরিতে ওই ইট ব্যবহার কার হচ্ছে।
জানা গেছে, এলজিইডির আওতাধীন প্রায় এক কোটি ১৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দে হরিপাগলা থেকে দাশের হাওলা মল্লিক বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার দৈর্ঘে্যর ওই রাস্তাটি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটির বরাদ্দ পায়। আর কাজটি করাচ্ছেন পিরোজপুরের অংশু শেখ নামে এক ঠিকাদার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই রাস্তা তৈরিতে ইটের খোয়া ও বালু মিলিয়ে সাব বেইজের কাজ করছেন শ্রমিকরা। সেখানে খোয়া হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ভবন ভাঙা পুরানো ইট যাতে রয়েছে বালু-সিমেন্ট মাখানো। আবার কয়েক হাজার ইট স্তূপ করে রাখা রয়েছে সেখানে। শ্রমিকদের কাছে ওই ইট কার জানতে চাইলে তারা জানান, রাস্তার কাজে ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ইটগুলো পাঠিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, কোনো নির্মাণ বা সংস্কার কাজের দরপত্র গ্রহণকালে সেখানে থাকা পুরানো ইট বা মালামাল দরপত্রের সঙ্গে ধরে দরপত্র প্রদান করা হলে শুধুমাত্র ওই কাজের পুরোনো ইট বা মালামাল ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু অন্য স্থান থেকে আনা কোনো পুরোনো মালামাল ব্যবহার করার বিধান নেই।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন খান জানান, ওই ইটগুলো কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ ভবন ভাঙা ইট। তা রাস্তার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে দেখে স্থানীয়রা কাজে বাঁধা দিয়েছেন।
ওই কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা এলজিইডির এসও মো. গাফফার হোসেন জানান, ইটগুলো সরিয়ে ফেলতে বলা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়া বলেন, সেখানে নতুন ইট ব্যবহারের বরাদ্দ রয়েছে। পুরানো ইট ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। ঠিকাদারকে তা সরিয়ে ফেলতে বলা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মো. অংশু শেখের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, সমস্যা নেই ইটগুলো সরিয়ে ফেলবো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২২
আরএ