ফরিদপুর: অন্ধকারে হাসপাতালের ভুতুড়ে পরিবেশ, নেই কোনো লাইট। কেউ রোগীকে হাতপাখার বাতাস করছেন, কেউ টর্চ লাইট বা মোবাইলের ফ্লাশ জ্বালিয়ে বসে আছেন আবার অনেকে জটলা জমিয়েছেন হাসপাতালের বাইরে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা মেলে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে এমন পরিবেশ। লোডসেডিংয়ের সময় সেখানে ঢুকতেই চারিদিকে শোনা যায় রোগী ও রোগীর স্বজনদের তীব্র ক্ষোভ আর আহাজারি।
হাসপাতালে থাকা রানা নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, তিন দিন হয়েছে হাসপাতালে রোগী ভর্তি। বিদ্যুৎ গেলে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়। তীব্র গরমের মধ্যে আবার অন্ধকারে বসে থাকতে হয়। দিনের বেলা কোনোরকম মানিয়ে নিলেও রাতে যেন এক ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়। অন্ধকারের মধ্যে কারোই কিছু করার থাকে না। অন্যান্য হাসপাতালে জেনারেটর থাকে, এখানে তাও নেই।
সালথা উপজেলার নকুল হাটি গ্রাম থেকে আসা বাবলু নামে এক রোগী বলেন, এমনিতেই অসুস্থ্য। এর মধ্যে যখন লোডসেডিং হয় তখন যেন আরও অসুস্থ্য হয়ে পড়ি। হাসপাতালের কোনো জেনারেটরও নেই।
মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে থাকা অঞ্জু নামে এক সিনিয়র স্টাফ নার্স বলেন, ছয় মাস হয়েছে আমি এখানে এসেছি। কখনও জেনারেটর চলতে দেখিনি।
সাবিতা নামে আরেক সিনিয়র স্টাফ নার্স বলেন, এখানে আমি ১০ মাস ধরে কাজ করছি। জেনারেটর না থাকায় লোডশেডিংয়ের সময় রোগীদের পাশাপাশি আমাদেরও অনেক কষ্ট হয়। হাসপাতালে অন্তত জেনারেটর ব্যবস্থা থাকা উচিত ছিল।
এদিকে পুরাতন বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় দেখা যায়, পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে একটি জেনারেটর। ধুলাবালি আর মাকড়সার জাল বাসা বেঁধেছে সেটিতে।
ফরিদপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে। কর্তৃপক্ষের কাছে জেনারেটর চাইবো। কিন্তু জেনারেটর চালাতে তেল খরচটা আমরা ঠিকমতো পাই না। অথচ জেনারেটর চালাতে অনেকটা তেল লাগে। এবারে তেলের খরচসহ জেনারেটর চাওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০ , ২০২২
এফআর