শরীয়তপুর: পদ্মা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের কাথুরিয়া গ্রামে।
আতঙ্কে বসতভিটা সরিয়ে নিচ্ছেন স্থানীয়রা।
ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে পদ্মার পানি বাড়ছে। এতে কাথুরিয়া গ্রামের প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে ভাঙন আতঙ্কে কাথুরিয়া গ্রামের কমপক্ষে ২৫টি ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। আর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে কয়েক একর ফসলি জমি, গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা।
অনেকেই নিজেদের সব হারিয়ে অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকছেন। এসব এলাকায় ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে গ্রামের কমপক্ষে দুই শতাধিক পরিবার। এসব এলাকার বৈদ্যুতিক খুঁটিও সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে জাজিরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন কবলিত ৫০টি পরিবারের প্রত্যেককে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নসহ বড়কান্দি, ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা, গোসাইরহাট ও শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নে পদ্মা নদীর তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও গাছপালা ভাঙনের ঝূঁকিতে রয়েছে।
এ ব্যাপারে কাথুরিয়া গ্রামের হজরত আলী, রইছউদ্দিন, মামুন, নিপা, সামসুল হকসহ অনেকে বলেন, কয়েক বছরের ভাঙনে আমাদের ফসলি জমি, গাছপালা ও বসতভিটা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ এক সপ্তাহের তীব্র ভাঙনে শেষ সম্বল বাপ-দাদার ভিটেটুকুও হারাতে বসেছি। এক সপ্তাহে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। এসময় কমপক্ষে ২৫টি ঘর অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে আরও দুই শতাধিক পরিবার। আমরা অচিরেই ভাঙন রোধে দ্রুত স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
পালেরচর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোহাম্মদ লিটন বলেন, কাথুরিয়া এলাকায় আবার ভাঙন শুরু হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০টি পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব বলেন, বর্তমানে পদ্মা নদীতে পানি বাড়ায় জাজিরা উপজেলার পালেরচর ও বড়কান্দি ইউনিয়ন পদ্মা তীরবর্তী অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আগের ফেলা জিওব্যাগ ও জিওট্যাব সরে যাচ্ছে। তবে ভাঙন রোধে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২
এসআই