ফরিদপুর: ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ (বিএসএমএমসি) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য আন্তঃবিভাগ থাকলেও সেখানে কেউ ভর্তি নেই। ওয়ার্ডটি কতদিন ধরে বন্ধ সেটিও জানে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের এমন উদাসীনতায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ফরিদপুরসহ পার্শ্ববর্তী জেলার হাজারও মানুষকে। দেশের সব হাসপাতালে মানসিক বিভাগ নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এ বিভাগেই রোগী নেই। নেই কোনো রোগী ভর্তির ব্যবস্থাও। আউটডোরে কোনো রোগী এলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ভর্তির সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সুচিকিৎসার অভাবে ভুক্তভোগীদের অনেকেই নানা বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন হাসপাতালটি থেকে।
বিভিন্ন রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের ওই বিভাগে সপ্তাহে দুই-তিনদিন ডাক্তার আসেন শোনা যায়। কিন্তু তারা সব রোগীদের পাত্তা দেন না। মানসিক রোগ বিভাগ নিজেই একটি রোগী।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফরিদপুর জেলার ২০ লাখ নাগরিকের বসবাস। তাদের মধ্যে প্রায় এক লাখ মানুষে মনোরোগে ভোগেন। কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ গুরুতর মানসিক সমস্যাগ্রস্ত। শিশু-কিশোর বয়সে মানসিক আঘাত, সুপ্তব্যাধী প্রবল হচ্ছে যুবক ও মধ্য বয়সে। এতে অনেকেই ক্রনিক লেভেলের মানসিক রোগীতে পরিণত হচ্ছেন। ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ সংক্রান্ত রোগের সেবায় ওয়ার্ড তো আছে, কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা নেই।
হাসপাতালটির উপ-পরিচালক ডা. দীপক কুমার বলেন, চিকিৎসক সংকট ও এ বিভাগে রোগী ভর্তি করার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। সামান্য মানসিক রোগীর কিছু অংশ আমরা অন্য বিভাগের সঙ্গে ভর্তি করি। মানসিক রোগ বিভাগটি কতদিন ধরে বন্ধ রয়েছে তা বলতে পারছি না। আমি এ হাসপাতালে এসে বিভাগটি বন্ধ পেয়েছি। তবে, দ্রুত বিভাগটি চালুর চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।
হাসপাতালে নতুন এসেছেন তাই বিস্তারিত কিছুই নাকি বলতে পারেন না ডা. মো. এনামুল হক। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এ পরিচালক আরও বলেন, মানসিক রোগীর মধ্যে যারা শান্ত তাদের আমরা অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি। অশান্ত মানসিক রোগীদের ভর্তি রাখার মতো ব্যবস্থা হাসপাতালে না থাকায় তাদের ভর্তি করা হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২
এমজে