দিনাজপুর: দিনাজপুরের সদর উপজেলার দাইনুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে স্কুলছাত্র মিনার বাবু হত্যাকাণ্ডের তিনদিন পেরিয়ে গেলেও পরিবারকে মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়নি।
এদিকে ঘটনার ৭২ ঘণ্টা (শনিবার রাত ১১টা পর্যন্ত) পরও ছেলের মরদেহ ফেরত না পাওয়ায় বাবা জাহাঙ্গীর আলম ও মা মিনারা পারভীন শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।
নিহতের পরিবারের দেওয়া ছবি, শরীরের চিহ্নসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তর ভিত্তিতে বিএসএফ মরদেহটি শনাক্ত করেছে বলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি সূত্র। তবে মরদেহটি কবে কখন ফেরত দেওয়া হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেনি বিজিবি।
পুলিশ বলছে, বিজিবির পক্ষ থেকে নিহত মিনার বাবুর মরদেহ ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে তাদেরও (পুলিশকে) কিছু জানানো হয়নি।
গত বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে দিনাজপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর কমলপুর ইউনিয়নের দাইনুর বিওপি-৩১৫ নম্বর মেইন পিলারের কাছে কচ্ছপের শুঁটকি আনতে যায় মিনার বাবু। সে সময় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় মিনার। সে দিনাজপুর সদর উপজেলার ৯ নম্বর আস্করপুর ইউনিয়নের ভিতরপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। মিনার বাবু খানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
>> বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি স্কুলছাত্র নিহত, নিখোঁজ ২
>> সীমান্তে স্কুলছাত্র হত্যা: ৩৬ ঘণ্টায়ও মরদেহ দেয়নি বিএসএফ
বাংলাদেশ সময়: ০০১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২
এসআরএস