ঢাকা: ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে ছিটিয়ে দুই জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দেশের সব কারাগারে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে যে কারাগারগুলোয় জঙ্গিরা রয়েছে সেখানে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২০ নভেম্বর) রাতে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রি. জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দেশের ৬৮টি কারাগারে সব সময় বাড়তি নিরাপত্তা থাকে। আজকে যেহেতু আদালত থেকে জঙ্গি পলায়নের ঘটনা ঘটেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় ও স্বরাষ্ট্র সচিব দেশের সব কারাগারে নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ানোর জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছেন। এই ম্যাসেজ দেশের ৬৮টি কারাগারে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্দিরা যখন আদালতে যাবে নিয়ম-কানুন সঠিকভাবে পালন করতে নির্দেশনা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজন জানান, কারাগারে সাধারণ বন্দিদের নিরাপত্তার পাশাপাশি জঙ্গিদেরও সব সময় বাড়তি নজরদারিতে রাখা হয়। স্থান পরিবর্তনসহ অন্যান্য বিষয়গুলো সবসময় কারাগারগুলোতে থাকে। এছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও কাশিমপুরসহ মোট ১৩টি কারাগারের সিসি ক্যামেরা মনিটরিং কারা অধিদফতরের আওতায় নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব কারাগারের সিসি ক্যামেরা মনিটরিং অধিদফতরের আওতায় নেওয়া হবে।
এর আগে প্রিজনভ্যানে তুলতে দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটক দিয়ে আসামি বের করার সময় দুই জঙ্গি পালিয়ে যায়। দায়িত্বরত পুলিশের চোখে পিপার স্প্রে নিক্ষেপ করে পালায় তারা।
পলাতক দুজন হলো—সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুরের মইনুল হাসান শামীম ও লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেটশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব।
পুলিশ জানিয়েছে, পালিয়ে যাওয়া দুজন জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য। তারা প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় হাজিরা দিতে রোববার তাদের সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছিল। সন্ত্রাস বিরোধের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজিরা শেষে হাজতখানায় নেওয়ার সময় চারজনের মধ্যে দুজনকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২২
এজেডএস/এসএ