ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কলাপট্টি এলাকার একটি মসজিদের টয়লেট থেকে সুজন (২২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সোমবার (২১ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
এর আগে, রোববার দিনগত রাতে মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রহিম মিয়া বলেন, ট্রিপল নাইনের মাধ্যমে খবর পেয়ে রোববার যাত্রাবাড়ী কলাপট্টির মসজিদের টয়লেট থেকে সুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। টয়লেটের ভেতরে প্যান্ট খোলা অবস্থায় কাত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। আর দরজাটি ভেতর থেকে একটি রশি দিয়ে আটকানো ছিল।
তিনি বলেন, মরদেহে জখম রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো স্থানে মারধরের শিকার হয়ে পরবর্তিতে তিনি ওই টয়লেটে ঢুকেছিলেন। তখন অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়। তবে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে নিহতের বড় ভাই মামুন হোসেন জানান, তাদের বাড়ি ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুদবা গ্রামে। বাবা আবু তাহের রিকশাচালক। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন সুজন। বর্তমানে তাদের পরিবার কদমতলী পূর্ব ধোলাইপাড় ৩ নম্বর গলিতে থাকে। আর কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি ভাঙারির কারখানায় কাজ করতেন সুজন। শনিবার রাতেও পরিবারের সঙ্গে তার কথা হয়। রোববার তিনি বাসায় যাবেন বলে জানিয়েছিলেন। এরপর পুলিশের মাধ্যমে খবর আসে মসজিদের টয়লেট থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়েছে। পরে যাত্রাবাড়ি থানায় গিয়ে সুজনের মরদেহ দেখতে পাই।
পরিবারের অভিযোগ, সুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর এ ঘটনার সঙ্গে তার কারখানার মালিক জড়িত থাকতে পারেন।
এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ওই যুবক গত দু’দিন আগে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনি শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। মার খেয়ে ওই টয়লেট ঢুকে তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান বলে আমাদের ধারণা। তিনি কোন এলাকায় গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন সেটি বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
এজেডএস/জেডএ