ঢাকা: ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের মুখে স্প্রে ছিটিয়ে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা মামলাটির তদন্তভার পেয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
সোমবার (২১ নভেম্বর) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের করা মামলার তদন্ত করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
এদিকে, কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাংলানিউজকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ মামলার তদন্তভার কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে আদালত থেকে কোর্ট হাজতে নেওয়ার সময় ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকে পুলিশের চোখে পিপার স্প্রে ছিটিয়ে দুই জঙ্গি পালিয়ে যায়।
পলাতক দু’জন হলেন—সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুরের মইনুল হাসান শামীম ও লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেটশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য। তারা প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানারে একটি মামলায় হাজিরা দিতে তাদের সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছিল। সন্ত্রাস বিরোধের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজিরা শেষে হাজতখানায় নেওয়ার সময় চারজনের মধ্যে দুজনকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যে সারাদেশের অধঃস্তন আদালতে নিরাপত্তা জোরদারে নির্দেশনা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র এবং আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেন আর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১,২০২২
এসজেএ/জেএইচ