ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত সিটিটিসিতে হস্তান্তর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত সিটিটিসিতে হস্তান্তর আদালত থেকে পালানো দুই জঙ্গি শামীম ও সোহেল: ফাইল ফটো

ঢাকা: ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের ওপর পিপার স্প্রে ছিটিয়ে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় হওয়া মামলা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের (সিটিটিস) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  

সোমবার (২১ নভেম্বর) কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলার তদন্তভার আমরা সিটিটিসিকে বুঝিয়ে দিয়েছি৷ রিমান্ডে পাওয়া আসামিদেরও সিটিটিসির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে৷ এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞানামা আরও ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে রোববার রাতেই পালানোর চেষ্টাকালে আটক দুজনসহ ১০ জঙ্গির ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- শাহীন আলম ওরফে কামাল, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন, বি এম মজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারী, আরাফাত রহমান, খাইরুল ইসলাম ওরফে সিফাত, মোজাম্মেল হোসেন, শেখ আব্দুল্লাহ, আঃ সবুর ও রশিদুন্নবী ভুইয়া।  

ছিনতাই হওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে মোহাম্মদপুর থানার যে মামলায় সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল এ ১০ জন একই মামলার আসামি। তাদের ছিনতাইয়ের ঘটনায় হওয়া মামলায় আসামি করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এ সময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থল আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়।

ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় তাদের হাজিরা করা হয়েছিল। হাজিরা শেষে হাজতখানায় নেওয়ার পথে পুলিশের মুখে স্প্রে ছিটিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে থেকে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

পলাতক দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।  

অপরদিকে সারাদেশে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া ঘটনা তদন্তে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
কেআই/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।