ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘দেশ ও মানুষের স্বার্থে সশস্ত্র বাহিনীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
‘দেশ ও মানুষের স্বার্থে সশস্ত্র বাহিনীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’

দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর অবদান সবচেয়ে বেশি। দেশ ও মানুষের স্বার্থে সশস্ত্র বাহিনীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

সোমবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত 'সশস্ত্র বাহিনীর ইতিহাস ও অবদান' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।  

জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আলোচনা সভাটি আয়োজন করে হৃদম কালচারাল সোসাইটি। এতে সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ বি তাজুল ইসলাম।  

তিনি বলেন, আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি ও ইতিহাস পালনের ক্ষেত্রে আমরা দল-মত সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করি। আমরা তখন ভুলে যাই আমরা কে কোন দলের বা কোন মতের। আমরা তখন এ দেশের নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। সে রকমই সশস্ত্রবাহিনীর সব সৈনিক সব সময় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে। যদিও সেনাবাহিনীর কিছু লোকের কারণে মাঝখানে সেনাবাহিনীর মান ক্ষুণ্ন হয়েছিল। তারপরও আমাদের সকল কার্যক্রম দেখে আমাদের সেনাবাহিনীর উপর সাধারণ মানুষের বিশ্বাস হারায়নি।

তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন জন বিভিন্ন দল ও মতের হতে পারে। কিন্তু দেশ ও সমাজের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তাহলে আমরা এ দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারব।

সভাপতির বক্তব্যে কর্ণেল (অব) মিয়া মসিউর জামান বলেন, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর আমাদের তিনটি বাহিনী একসাথে হতে পেরেছিল বলে অতিরিক্ত শক্তি ও দুর্জয় মনোবল তারা অর্জন করতে পেরেছিল। আজকে আমরা বিভেদ ভুলে সব নাগরিক, সব নেতা,  বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা যদি রাষ্ট্রটাকে আমাদের চিন্তার মধ্যে এতটাই গুরুত্ব দিতে পারতাম, যে এই রাষ্ট্রের জন্য আমরা এক হয়ে যাব, তাহলে আমরা কি না অর্জন করতে পারতাম!

রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ২১ নভেম্বর যৌথ বাহিনীর যে আগমণ ঘটেছিল, যে শক্তি সেদিন যৌথবাহিনী অর্জন করেছিল সেটার থেকে শিক্ষা নিয়ে বলতে চাই, আমাদেরকে যৌথ হওয়ার একটা সুযোগ দিন। আমাদেরকে একত্রিত হওয়ার একটা সুযোগ দিন। আমাদেরকে বাংলাদেশি হিসেবে গর্ব করার একটা সুযোগ দিন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আমরা সেনাবাহিনী থেকে যা পেয়েছি তার বেশিই দেওয়ার সময় এসেছে। আমরা এখন নিজেদের মতো করে একত্রিত হয়ে জাতির জন্য কিছু করতে পারি। জাতি অনুসন্ধান করে বের করবে আমাদের এ তারুণ্য, শৃঙ্খলাকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়। আমরা নিজেরাও এ নিয়ে গবেষণা করছি। আমরা একত্রিত হয়ে দেশ ও সমাজের জন্য কিছু করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।

তারা আরো বলেন, সশস্ত্র বাহিনী সৃষ্টি হয়েছে রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণের উদ্দেশ্যে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো যখন রাজনৈতিক পক্ষপাত করে তখন জনগণের ক্ষতি হয়ে যায়। সে সময় সাধারণ মানুষের প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে যায়। আমরা চাই সশস্ত্রবাহিনীর উপর মানুষের যে বিশ্বাস রয়েছে সে বিশ্বাস যেনো কখনো ধ্বংস না হয়।

হৃদম কালচারাল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর (অবঃ) আমীন আহমেদ আফসারীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) আমিনুল করিম ও মেজর (অবঃ) ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনসহ সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
এসসি/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।