চাঁদপুর: চাঁদপুরে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ভূমিহীন ও ছিন্নমূল ১৮০ পরিবারকে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত চরপাথালিয়া-২ আশ্রয়ণ প্রকল্পে এসব ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নে সহকারী কমিশনার মো. আল এমরান খানের কাছে চাবি হস্তান্তর করেন মেজর মো. তাহমিনুল হাসান।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের ৩৩ আর্টিলারি ব্রিগেডের ৪১ মিডিয়াম রেজিমেন্টের তত্ত্বাবধানে এ প্রকল্পে ৩৬টি পাকা ব্যারাক হাউজ নির্মান করা হয়।
চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে মতলব উত্তর উপজেলার সহকারী কমিশনার আল এমরান খান জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। কাউকে পিছিয়ে না রেখে সবাইকে নিয়েই উন্নয়ন সম্ভব এ প্রেক্ষাপট থেকেই প্রকল্পটি করা হয়েছে। একটি মানুষও যেন ভূমিহীন না থাকে সেই লক্ষ্য থেকেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের কর্মকাণ্ড শুরু হয়।
তিনি আরও জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চরপাথালিয়া-২ এ ৩৬টি ব্যারাকে ১৮০টি ঘর নির্মান করা হয়েছে। যারা সুবিধাবঞ্চিত ও যাদের কোনো জমি নেই, তাদেরকে এখানে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৮০টি পরিবারের মুখে হাসি ফুটবে।
এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের ৩৩ আর্টিলারি ব্রিগেডের ৪১ মিডিয়াম রেজিমেন্টের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, গত ১০ এপ্রিল চরপাথলিয়া-২ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি পাকা ব্যারাক হাউজ নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০ নভেম্বর সেগুলোর কাজ সম্পন্ন হয়।
প্রকল্পটির মোট দৈর্ঘ্য ৬৬৫ ফুট ও প্রস্থ ৪৪০ ফুট। এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩৬টি পাকা ব্যারাক হাউজ রয়েছে। প্রতিটি ব্যারাক হাউসের দৈর্ঘ্য ৪৭ ফুট ও প্রস্থ ৩০.৮ ফুট। পাঁচ ইউনিট বিশিষ্ট প্রতিটি ব্যারাক হাউজ সম্পূর্ণ পাকা। আশ্রয়ণে বসবাসকারী পরিবারদের সুবিধার্থে ৭২টি টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানির জন্য ৩৩টি অগভীর এবং তিনটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২২
এফআর