ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘বিশ্বে প্রতি ১১ মিনিটে একজন নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
‘বিশ্বে প্রতি ১১ মিনিটে একজন নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে’ আন্তোনিও গুতেরেস

ঢাকা: জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, নারী ও কন্যা শিশু-কিশোরীদের ওপর সহিংসতা বিশ্বের সবচেয়ে ক্রমবর্ধমান মানবাধিকার লঙ্ঘন। প্রতি ১১ মিনিটে একজন নারী অথবা কন্যা শিশু-কিশোরী সঙ্গী অথবা পরিবারের সদস্যের হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে।

আমরা জানি যে, কোভিড-১৯ মহামারি থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি পর্যন্ত অন্যান্য সব চাপ অনিবার্যভাবে আরও বেশি শারীরিক ও মৌখিক নিপীড়নের কারণ হচ্ছে।  

২৫ নভেম্বর নারীর প্রতি সহিংসতার অবসান ঘটানোর আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, নারী ও কন্যা শিশু-কিশোরী অনলাইনেও সহিংসতার শিকার হচ্ছে। বিদ্বেষমূলক বক্তব্য থেকে শুরু করে যৌন হয়রানি, ছবির অপব্যবহার, এমনকি অপরাধীদের শিকার হচ্ছে তারা।

তিনি আরও বলেন, এ বৈষম্য, সহিংসতা ও নিপীড়ন মানবজাতির অর্ধেক অংশকে লক্ষ্যবস্তু করায় তার চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। এসব ঘটনা জীবনের সব ক্ষেত্রে নারী ও কন্যা শিশু-কিশোরীদের অংশগ্রহণ সীমিত করছে, তাদের ন্যূনতম অধিকার ও স্বাধীনতা থেকেও বঞ্চিত করছে এবং সমহারে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও আমাদের বিশ্বের জন্য প্রয়োজনীয় টেকসই প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, নারী ও কন্যা শিশু-কিশোরীদের ওপর সহিংসতা প্রতিরোধে পরিবর্তনমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়। অর্থাৎ এ সমস্যা দূরীকরণে সরকারকে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তৃণমূল ও নাগরিক সমাজকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আইন প্রয়োগ ও আইন মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে করে নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিরা যেন অনুধাবন করে যে তারা ন্যায়বিচার পাচ্ছে ও তাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, পিতৃতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ জানানো এবং নারীবিদ্বেষ ও সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করা জনপ্রচারণাকে সমর্থন দিতে হবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘সবার মাঝে ঐক্য গড়ি, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করি’। আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে বিশ্বজুড়ে পরিবর্তনের ডাক দেওয়া ও সহিংসতার শিকার নারী ও কন্যা শিশু-কিশোরীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো প্রচারণাকর্মীদের আমাদের সমর্থন দিতে হবে। আমি সরকারগুলোর প্রতি ২০২৬ সাল নাগাদ নারী অধিকার সংগঠন ও আন্দোলনগুলোয় তহবিল ৫০ শতাংশ বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আসুন আমরা নারীর অধিকারের পক্ষে একসঙ্গে কাজ করি, জোরে আওয়াজ তুলি। আসুন গর্বের সঙ্গে ঘোষণা দেই, আমরা সবাই নারীর সমানাধিকারের পক্ষে। আসুন নারী ও কন্যা শিশু-কিশোরীদের ওপর সহিংসতাকে এমনভাবে নির্মূল করি তা যেন ইতিহাস হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
টিআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।