ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অবশেষে কিশোর কামরানের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
অবশেষে কিশোর কামরানের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে চা পাতা ও বরফ দিয়ে পলিথিনে মুড়িয়ে রাখা কিশোর কামারান আখঞ্জীর (১৪) ময়নাতদন্ত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) মৃত্যুর পর টানা ৪৩ ঘণ্টা তার মরদেহ মর্গে পড়ে ছিল।

ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে কামারানে র মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে দুপুর ১২টায় কামরানের ময়নাতদন্ত শেষ করেন হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মোমিন উদ্দিন চৌধুরী।

নিহত কামরান বাহুবল উপজেলার মুখকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই আখঞ্জীর ছেলে। সে চলিতাতলা মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যাডমিন্টন খেলছিল সে। হঠাৎ অসাবধানতাবশত তার ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য টানানো বিদ্যুতের লাইন স্পর্শ করে। এতে কামরানের মৃত্যু হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে উদ্ধারের পর কামরানের মরদেহ হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় বাহুবল মডেল থানা পুলিশ।

কিন্তু এদিন হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক স্বাচিপ পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে ঢাকা চলে যান। যে কারণে কামরানের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়নি। চিকিৎসকরা ফিরলেও ‘পুলিশ সুরতহাল না দেওয়ায়’ মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল।

বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় চিকিৎসক-পুলিশ ঠেলাঠেলি। সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মোমিন উদ্দিন চৌধুরী জানান, সম্মেলনে থাকার তারা ময়নাতদন্ত করতে পারেনি। আবার পুলিশও সুরতহাল দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ সুরতহাল না দিলে লাশ মর্গে থাকার কথা না। কিন্তু তারা মানবিক দিক বিবেচনায় নিহতের পরিবারকে মর্গে লাশ রাখার সুযোগ দেন।

বাহুবল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার জানান, তারা মরদেহের সঙ্গেই সুরতহাল প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। এ ছাড়া ঘটনার দিন থেকে একজন পুলিশ সদস্য মর্গে ছিলেন।

পরে বেলা ১১টার দিকে ‘চিকিৎসক-পুলিশের ঠেলাঠেলি, ময়নাতদন্ত হচ্ছে না কিশোরের মরদেহের’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলানিউজ। এ খবরে উপজেলায় সমালোচনা ও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তারপরই কামরানের ময়নাতদন্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে কামরানের বাবা আব্দুল হাই আখঞ্জী বলেন, ছেলে খেলতে গিয়ে নিহত হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। তারা ময়নাতদন্ত ছাড়াই কামরানের মরদেহ দাফন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আইনি জটিলতা থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে ৪৩ ঘণ্টা মরদেহ পড়েছিল। চিকিৎসকরা অবহেলা করেছিলেন। আমি-আমার স্ত্রী পড়েছি। ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। ছেলের মরদেহ পেয়েছি।

বাংলাদেশ সময়:১৪১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।