বরিশাল: বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ৫৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে গুণীজন সংবর্ধনা পেয়েছেন সমাজ সেবক রাখাল চন্দ্র দে এবং সংস্কৃতিজন মুকুল দাস।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) রাতে বরিশাল নগরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও গুণীজন সম্মাননার আয়োজন করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পগোষ্ঠী বরিশাল জেলা সংসদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত এবং উদীচী সঙ্গীত পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা।
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বরিশাল জেলা সংসদের সভাপতি সাইফুর রহমান মিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান, বরিশাল নাটকের সভাপতি কাজল ঘোষ।
শুরুতে সংবর্ধিত গুণী ব্যক্তিদের উদীচীর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মঞ্চে থাকা অতিথি এবং বরিশালের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
এরপর বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে উদীচীর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং সংবর্ধিত গুণীজনদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়।
এরপর গুণীজন রাখাল চন্দ্র দে এবং মুকুল দাসের কর্মময় জীবনের অংশবিশেষ পাঠ করা হয়।
এসময় গুণীজনদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন এবং মানপত্র তুলে দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমানসহ অতিথিরা।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট বিশ্বনাথ দাস মুনশী, বাংলাদশে মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পুষ্প রাণী চক্রবর্তী, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কবি নজমুল হোসেন আকাশ, সচেতন নাগরিক কমিটি বরিশালের সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শুভংকর চক্রবর্তী, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আজমল হোসেন লাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক মারিফ আহম্মেদ বাপ্পি, জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দু সেখর সরকার, খেয়ালী গ্রুপ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ চক্রবর্তী, বরিশাল নাটকের সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথী, উদীচী বরিশাল জেলার সাধারণ সম্পাদক স্নেহাংশ কুমার বিশ্বাস।
বক্তারা বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও দেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই নিয়মিত জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না। পালন করা হয় না মহান মুক্তি সংগ্রামের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো জাতীয় দিবস। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা- তা ধারাবাহিক নজরদারির মাধ্যমে নিশ্চিত করা দরকার।
আলোচনা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পর আবৃত্তি পরিবেশন করে বরিশাল নাটক পরিচালিত আবৃত্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা। সব শেষে মঞ্চস্থ হয় ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে গীতি নৃত্য নাটক সোনাই মাধব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
এসএম/এনএস