ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজস্ব বাড়াতে বিষয়ভিত্তিক দক্ষ জনবল নিয়োগের পরামর্শ পরিকল্পনামন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
রাজস্ব বাড়াতে বিষয়ভিত্তিক দক্ষ জনবল নিয়োগের পরামর্শ পরিকল্পনামন্ত্রীর রাজধানীর গুলশান ক্লাবে সেমিনারে অংশ নেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। ছবি: রাজিন চৌধুরী 

ঢাকা: রাজস্ব বাড়াতে বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞ দক্ষ জনবল নিয়োগে পরামর্শ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

বাণিজ্য ও অর্থনীতি বিষয়ে না পড়ে অনেকেই আয়কর কর্মকর্তা হওয়ায় সমস্যা হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জেনারেল ক্যাডার থেকে অনেকে এসেছেন।

ইংরেজি পড়ে এসেছে, জিওগ্রাফি পড়ে এসেছে। ঘাঁ খেয়ে খেয়ে, এনারা হোঁচট খেয়ে শেখে, অনেকের (আয়কর দাতা) পা ভাঙে। এদের (আয়কর কর্মকর্তার) তো আর পা ভাঙে না (কোন ক্ষতি হয় না) এদের পা ভাঙলে সমস্যা ছিল না।  

শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশান ক্লাবে ‘বাংলাদেশের আয়কর আইনের একশো বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তাদের আলোচনায় এসব উঠে এসেছে।  

পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, রাজা বাদশাহরা রাষ্ট্র বানিয়ে চাঁদা নিতো, সেটা ছিল সেসময়ের ট্যাক্স। এখন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মালিক জনগণ, জনগণ রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করেন।

রাজা কিংবা মহারাণীকে দেওয়া প্রজার দায় ছিল। কিন্তু আমাদের সরকারকে কর দেওয়া এখন জনগণের দ্বায়িত্ব। আগে ছিল দায়, এখন সেটা দ্বায়িত্ব।

ডাবল ট্র্যাক রেললাইন হোক, পদ্মা সেতু হোক আরও, হাজার হাজার বিশ্ববিদ্যালয় হোক। এসব করতে প্রয়োজন কর দেবার ক্ষেত্রে জনগণের দ্বায়িত্ববোধ।  

সংস্কার, পরিবর্তনের জন্যে প্রতিনিয়ত ‘ডায়ালগ’ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।  


মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় চার্টাড অ্যাকাউন্টটেড স্নেহাশিস বড়ুয়া বলেন, গত ১০ বছরে ৯০ হাজার কোটি টাকা থেকে ৩ লাখ কোটি টাকায় উত্তীর্ণ হয়েছে আয়কর সংগ্রহ।  

তবে আয়কর বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার পেছনের কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আয়কর ক্যাডারে বাংলা, ইংরেজি এসব সাবজেক্ট থেকে আসছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টসের বিষয়গুলো তারা তো ডিটেইলস বুঝবে না। ৬ মাসের হয়তো কোর্স করছে কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়। এজন্য এনবিআরের অধীনে নিজস্ব জনবল কাঠামো প্রয়োজন।

মূল প্রবন্ধে উপস্থাপনে তিনি আরও বলেন, ইলেকট্রনিক টিআইএন হোল্ডারের পরিমাণ ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালে ৩১ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে আয়কর রাজস্ব দেওয়ার পরিমাণ কমেছে। এই প্রবৃদ্ধি মাইনাস ১১ দশমিক ৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
এনবি/এসএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।