গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পপি খাতুনের (৩১) মামলায় স্বামী মোহাইমেনুল ইসলামকে (৩৩) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেরর বিচারক নাজমুল হাসান এ আদেশ দেন।
এর আগে শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে মোহাইমেনুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মোহাইমেনুল উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের মাকসুদুর রহমানের ছেলে।
তার স্ত্রী পপি খাতুন একই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের মেয়ে। তিনি নীলফামারীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এপি. সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত আছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গেল বৃহস্পতিবার পৌর শহরের বোয়ালিয়া গ্রামে ভগ্নিপতি সোহরাবের বাড়িতে আসেন পপি খাতুন। পর দিন শুক্রবার দুপুরে মোহাইমেনুল ইসলাম সেখানে এসে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পপি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারধর করে গুরুতর জখম করা করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। নির্যাতিত ম্যাজিস্ট্রেট পপি আগেও তার স্বামীকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নীলফামারী সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোবিন্দগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রলয় কুমার বর্মা জানান, শনিবার সকালে অভিযুক্ত মোহাইমেনুলকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে তাকে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত করলে বিচারক অভিযুক্তকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে বিকেলে তাকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
এসআইএস