ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফুটবল বিশ্বকাপের সময় জাতীয় পতাকার অবমাননা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
ফুটবল বিশ্বকাপের সময় জাতীয় পতাকার অবমাননা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

বরগুনা: চার বছর পর পর বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট শুরু হলে বাংলাদেশে ভক্ত-সমর্থকরা নিজ নিজ পছন্দের দেশের পতাকা ওড়ান। এতে দেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়।

যে কারণে টুর্নামেন্ট হলেও দেশে বিদেশি পতাকা ব্যবহার বন্ধ, জাতীয় পতাকা বিধিমালা লঙ্ঘন করে অমর্যাদাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রশাসনের নীরব ভূমিকার প্রতিবাদে প্রতিবাদী সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে জেলার প্রেসক্লাবের সামনে।

রোববার (২৭ নভেম্বর) চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ’র আয়োজনে ও বরগুনা প্রেসক্লাবের সহযোগিতায় ঘণ্টাব্যাপী এ প্রতিবাদী সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

বরগুনা মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর’র ট্রাস্টি চিত্ত রঞ্জন শীল, জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল, মুক্তিযোদ্ধা সুখ রঞ্জন শীল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভানেত্রী নাজমা বেগম, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জাফর হোসেন হাওলাদার, জাগো নারীর প্রধান নির্বাহী হোসনেয়ারা হাসি, বরগুনা খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক আরিফ ও ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন’র সভাপতি সুমন শিকদার স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি প্রতিবাদী সমাবেশ ও মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো হয়।

পাবলিক পলিসির সভাপতি সাংবাদিক হাসানুর রহমান ঝন্টুর সভাপতিত্বে ও মনির হোসেন কামালের সঞ্চালনায় প্রতিবাদী সমাবেশে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সুখ রঞ্জন শীল, চিত্ত রঞ্জন শীল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ, জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জাফর হোসেন হাওলাদার, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম’র জেলা প্রতিনিধি মো. জাহিদুল ইসলাম মেহেদী, ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন’র জেলা সেক্রেটারি তাসনিয়া হাসান অর্পিতা।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালে বাংলাদেশে বিদেশি পতাকা ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছিল। ওই রিট আবেদনে বলা হয়, ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দলের বাংলাদেশি সমর্থকরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদেশি পতাকা উত্তোলন করেন। অথচ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা ১৯৭২’র বিধান অনুযায়ী, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনৈতিক মিশন ছাড়া অন্য কোনো স্থানে অন্য রাষ্ট্রের পতাকা উত্তোলন করতে হলে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে পতাকা ওড়ানোর যে নিয়ম অনুসরণ করা হয় তাতে প্রথমত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা হয়। দ্বিতীয়ত, অনুমোদন ছাড়াই বিদেশি পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পতাকা বিধিমালাকে লঙ্ঘন করা হয়।

ফুটবল বিশ্বকাপ প্রতি চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়ে যে উন্মাদনা আর উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে তাতে আবেগের একটি প্রভাব থাকবে সমর্থকের মনে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেশের পতাকা কিংবা আইনের চেয়ে ফুটবলের প্রতি আবেগ কখনোই বড় কিছু নয়। এই পতাকার পেছনে আমাদের সংগ্রাম ও জাতীয় চেতনাকে লালন করে জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।