ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পৌরসভা হলো শ্যামনগর, আয়তন কমলো বগুড়ার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
পৌরসভা হলো শ্যামনগর, আয়তন কমলো বগুড়ার

ঢাকা: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা সদরকে পৌরসভা গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার)। এছাড়াও বগুড়া ও জামালপুরের সীমানা পুনঃনির্ধারণ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা স্থানান্তর এবং নান্দাইল পৌরসভার আয়তন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রোববার (২৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত নিকার সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভাকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, শ্যামনগর সুন্দরবনের কোণায়। সেই উপজেলা সদর হেড কোয়ার্টারে ‘সি’ শ্রেণির পৌরসভার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বগুড়ার অংশ যুক্ত হলো জামালপুরে: বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা এবং বোয়াইল ইউনিয়নের বিরোধপূর্ণ অংশ বিয়োজন করে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে সংযোজন করে মাদারগঞ্জ উপজেলার সীমানা পুনর্গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওই অংশটি বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা এবং বোয়াইল ইউনিয়নের সঙ্গে, এটা নদীর এই পাড়ে। বগুড়া যেতে হলে তাদেরকে ব্রক্ষ্মপুত্র নদপার হেয়ে যেতে হয়। সেজন্য জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে সংযোগ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মাদারগঞ্জ উপজেলার সীমানা পুনর্গঠন করে দেওয়া হয়েছে। সারিয়াকান্দির কাজলা এবং বোয়াইল ইউনিয়নের ওই অংশটুকু এখন থেকে মাদারগঞ্জ উপজেলার অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।    

সীমানা বেড়েছে নান্দাইল পৌরসভার: ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারণ করা হয়েছে নিকার সভায়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যখন পৌরসভা করা হয়, হয়তো পুরোপুরি খেয়াল করা হয়নি। মাঝখানের কিছু কিছু জায়গা পৌরসভার বাইরে রাখা হয়েছিল। মাঝখানে যদি ইউনিয়ন থাকে তাহলে প্রশাসনিক বা উন্নয়নমূলক বা নির্বাচনী কাজ করতে অসুবিধা হবে। সেজন্য ওই জায়গাগুলোকে পুনর্গঠন করে নান্দাইল পৌরসভার মধ্যে নিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা স্থানান্তর: কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাকে ঝাউদিয়া এলাকায় স্থানান্তর করে ‘ঝাউদিয়া থানা’ নামকরণ এবং ঝাউদিয়া পুলিশ ক্যাম্পকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্তানান্তর করে ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্প’ হিসেবে নামকরণের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে যে থানা আছে, ওনারা আবেদন করেছেন যে এটা একপাশে। সাধারণ মানুষের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকে সব সময় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে অসুবিধা হয়। পাশেই ঝাউদিয়া পুলিশ ক্যাম্প আছে, সেটার প্রায় এক একর জমিও আছে। সুতরাং থানা শিফট করলে নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে না, শুধু ভবন করলেই হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
এমআইএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।