নিউইয়র্ক: নিইয়র্কে মহিউদ্দিন মাহমুদ দুলাল (৫৭) নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুলালের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে।
স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত রাতে নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের ৫৪৬ নম্বর ম্যাকডোনাল্ড এভিনিউতে নিজ বাসভবনে বেসমেন্টে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কি ভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। এ হত্যাকাণ্ডের পর উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে প্রবাসীরা।
দুলালের ভবনের অফিস নেওয়া এক ভাড়াটিয়া প্রবাসে জনপ্রিয় কম্পিউটার সফটওয়্যার টেস্টিং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান আবু হানিফ এ ঘটনায় রীতিমত মোর্ছা যাচ্ছেন। তিনি দুঃসংবাদটি শোনার পর থেকে এখনো স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে পারছেন না বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।
আবু হানিফ বলেন, মহিউদ্দিন মাহমুদ দুলালের এক ছেলে তার এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষিত হয়েছেন। হৃদয় বিদারক এমন ঘটনা কোনো সুস্থ মানুষই মেনে নিতে পারেনা উল্লেখ করেন আবু হানিফ।
জানা গেছে, দুলালের বাড়ির বেসমেন্টে ভাড়া থাকতেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের রাসেল (২৫)। তবে ঘটনার পর থেকে তার কোনো সন্ধান মিলছে না।
দুলালের ছোট ভাই ওই এলাকার বাসিন্দা হানিফ মাহমুদ আকবর জানিয়েছেন, ‘রাত ১২টায় খবর পেয়ে বেসমেন্টের সিঁড়ির গোড়ায় দুলাল ভাইয়ের লাশ দেখতে পাই। এরপর পুলিশ এসে সব সিল করে করে দেয়। ’
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের রহমতপুরের কারগিল গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেনের বড় ছেলে দুলাল ভাগ্যান্বেষণে ১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন। স্ত্রী এবং ৩ সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।
দুলালের লাশ পুলিশ পাহারায় সিটি মেডিকেল এক্সামিনারের দফতরে নেওয়া হয়েছে। দুলালের বড় ছেলে জিতু থাকেন লংআইল্যান্ডে। তিনি একটি ডানকিন ডোনাটের ব্যবস্থাপক। অন্য দুই ছেলে হামিদ ও কুতুবউদ্দিন এখনো পড়াশোনা করছে।
ব্রুকলিনে বাংলাদেশি পরিচিত মুখ দুলাল হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে গভীর রাতেই প্রবাসী ব্রকলীনবাসী ছুটে যান সেখানে। চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি কাজী আজম, সন্দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এন আমিন, মুজিবুল মাওলা এবং সেক্রেটারি মহিউদ্দিন হাসান সহ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ। দুলার হত্যাণ্ডের বিষয়ে পুলিশকে সহায়তার জন্য তারা সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮,২০১৪
সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর, নিউজরুম এডিটর