নিউইয়র্ক: কন্সাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত গৃহপরিচারকের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, আসলে সে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যাওয়ার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতেই তার গল্পটাকে শক্তিশালী ও সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্য করতেই এ মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।
ফেডারেল কোর্টে মামলা দায়েরের পর বাংলানিউজ ও একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
সাক্ষাতকারে তিনি তার বিরু্দ্ধে দায়ের করা মামলা নিয়ে আরো অনেক খোলামেলা কথা বলেন।
কন্সাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম বলেন, তার বেতনের কথাও সত্য নয়, তার প্রতি মানবিক আচরণ করা হয়নি এ অভিযোগও সত্য নয়। সে এদেশে থেকে যাবে না বলেই আমার বাসা থেকে চলে যাবার পরপরই আমি আগে থেকেই সতর্ক হয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টকে জানিয়েছি, সে আমার সঙ্গে কিছুতেই মরক্কো যাবে না এবং বাংলাদেশেও যাবে না। সে এদেশেই থাকবে।
তিনি বলেন, তার বাবা-মাও তাকে উৎসাহিত করেছে এদেশে থেকে যেতে। আমাকে অনুরোধ করেছে তাকে এদেশে রেখে যাওয়ার জন্য। আমি এদেশের আইন ভঙ্গ করতে চাইনি। তাকে বাইরেও কাজ করতে দিইনি। এ হতাশা থেকেই সে একাজ করেছে।
মনিরুল বলেন, ‘এখানকার বাসা খুব গোছানো থাকে। তার নিজস্ব রুমের ক্লোজেটে তার ও আমাদের মাল রেখেছি। সে বলেছে প্লাস্টিকের ব্যাগে তার মাল রেখেছে সেটা ঠিক নয়। গৃহপরিচারক রানা তার নিজস্ব সুটকেসে তার মালামাল রেখেছে। এখানে তার কোন পরিস্কারের কাজও করতে হয়নি। এমনকি রাবিশ বিন সেটাও রুমের পাশেই ম্যানেজমেন্ট রেখেছে। রাবিশ ফেলতে তাকে নীচেও যেতে হয়না। সব কাজই হাতের নাগালের মধ্যে। সবকিছুই ম্যাকানাইজড। সবকিছু মেশিনের মাধ্যমেই হয়।
সুতরাং পরিশ্রমের কাজ বা সে ক্লান্ত হয়ে যাবে বা শুক্রবার তাকে কাজ করতে হবে এমন কোন কাজই তাকে করতে হয়নি- বলেন মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, তাকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি। স্বাধীনতা না দেয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। সে প্রায়ই আমার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যেতো। পাশেই পার্ক, আমি তাকে পার্কে নিয়ে যেতাম হাঁটতে। যেহেতু আমার বড় ছেলে নেই। আমি একা অনুভব করতাম। বিকেলে তাকে নিয়ে যেতাম। এখানে পথমেলা হতো। সেসব পথমেলায় তাকে নিয়ে গিয়েছি। শপিংয়েও তাকে সবসময় সঙ্গ নিয়ে গিয়েছি। বলেছি দেখো কোনটা ভালো। কি কেনাকাটা করা যায়। সে খুবই হাশিখুশি হয়ে আমাদের সঙ্গে বাইরে ঘুরে ফিরে বেড়াতো। অতএব বন্দি কখনোই সে ছিলো না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৪
** গোপনে নিউইয়র্ক ছেড়েছেন কন্সাল জেনারেল মনিরুল