নিউইয়র্ক : বৃহত্তর রাজনৈতিক অংশীদারিত্বের (পলিটিক্যাল ইনক্লুশন) লক্ষ্যে বাংলাদেশের ওপর চাপ অব্যহত রাখেছে যুক্তরাষ্ট্র । এ চাপ ছাড়া আরো বেশী স্থিতিশীলতা ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত হুমকির সম্মুখীন হবে বাংলাদেশ।
হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনেডি স্কুলে মঙ্গলবার দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি : সম্ভাবনা ও নিরাপত্তায় স্বপ্ন শীর্ষক বক্তব্যে এসব কথা বলেন মার্কিন সহকারি পররাষ্ট্র মন্ত্রী নিশা ভিশাল দেশাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশেই একমাত্র দেশ যেখানে প্রেসিডেন্ট ওবামার উন্নয়ন উদ্যোগের সবকটিই বাস্তবায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার হ্রাসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হাতেগোনা কয়েকটি দেশের অন্যতম। দেশটি সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সঠিক পথে চলছে। বাংলাদেশে গত ২০ বছরে ৫ বছরের নীচে শিশু মৃত্যুর হার ৬০ ভাগেরও বেশী কমিয়ে এনেছে।
নিশা দেশাই বলেন, বাংলাদেশ বিশেষ করে এশিয়ার বাকি দেশগুলোর সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কোন্নয়নে এবং ভারতের সাথে বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা ভাঙতে ভুমিকা রাখছে। মৌলিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে পারলে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বে জিডিপির অর্ধেক এর উৎস হবে এশিয়ার অর্থনীতি। যুক্তরাষ্ট্র যেকোন সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি এশিয়া মহাদেশে সক্রিয়।
বাংলাদেশ প্রসংগে তিনি আরো বলেন, রানা প্লাজা ও তাজরিন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ড যখন বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ,তখন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয়ান অংশীদার, শ্রমিক, কারখানা,নাগরিক সমাজ এবং সরকারের সাথে বাংলাদেশে পোষাক শিল্পে ব্যাপক উন্নতি সাধনে শক্তিশালী উদ্যোগে গ্রহণ করেছে।
আঞ্চলিক নিরাপত্তার গুরুত্ব বিষয়ে তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে নেপাল ও বাংলাদেশ উভয়ের সাথে আমাদের নিরাপত্তা সহযোগীতা সম্প্রসারিত হয়েছে ।
শুধুমাত্র শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, সীমান্ত নিরাপত্তা ,সন্ত্রাস দমন এবং এইচ এ ডি আর এর ক্ষেত্রে উভয় দেশই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৪