ঢাকা: বছর ঘুরে আবারো এলো সেই ফোবানা সম্মেলনের সময়। প্রতিবছরের মত এবারো প্রবাসী বাংলাদেশিরা আগ্রহ নিয়ে বসে আছেন কবে উঠবে ফোবানা মঞ্চের পর্দা।
এবারের ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে লসএঞ্জেলেস শহরে আগামী আগস্ট মাসের ২৯ থেকে ৩১ তারিখে এবং এর আয়োজন করছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালিফোর্নিয়া।
এটা জেনে রাখা ভালো যে, ফোবানা ওয়াশিংটন ডিসিতে রেজিস্ট্রেশন করা একটি নন-প্রফিট কর্পোরেশন। এটি ফোবানা ট্রেড মার্কের একমাত্র সত্ত্বাধিকারী। এ কর্পোরেশন প্রতি বৎসর নিয়মিত ট্যাক্স দেয়, বাৎসরিক সাধারণ সভার মাধ্যমে কর্মকর্তাদের নির্বাচিত করে এবং সারা বছর ধরে এর সদস্য সংগঠনদের জন্য সেবামূলক কাজ করে। প্রচণ্ড জনপ্রিয়তার কারণে এই সংগঠনের বাৎসরিক সম্মেলনের নামও ফোবানা। তাই ফোবানা মানে শুধু সম্মেলন নয়, সংগঠনও বটে।
ফোবানার সাংগঠনিক ক্ষমতা, স্বচ্ছতা, সামর্থ এবং ব্যাপকতার কারণে প্রতিবছর পঞ্চাশেরও বেশি সংগঠন ফোবানার সদস্য হবার জন্য আবেদন করে থাকে। এর ভেতর থেকে যাচাই-বাছাই করার পর সদস্যপদ দেওয়া হয়। কোন ব্যাবসায়িক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা আঞ্চলিক সংগঠন ফোবানার সদস্য হতে পারে না।
২০১৩ সাল থেকে আগামী ১০ বছরের জন্য ফোবানা ট্রেড মার্কের একমাত্র সত্ত্বাধিকারী। তাই আর কেউ এই নাম অথবা এই নামের কাছাকাছি কোনো নামও ব্যাবহার করতে পারবে না। যেকোনো সংগঠন যেকোনো নামে সম্মেলন করতে পারেন কিন্তু কোনো জায়গায় তারা ফোবানা নামটি ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি কেউ করেন তা হবে ট্রেডমার্ক আইনের আওতায় আইনত দণ্ডনীয়। ফোবানাকে এই আইনগত অধিকার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড মার্ক ও কপিরাইট প্রদানকারী সংস্থা ইউ,এস,পি,টি,ও।
এ ব্যাপারে যদি কারো সন্দেহ থাকে তাহলে ইউ.এস.পি.টি.ও এর ওয়েবসাইটে গিয়ে ফোবানার খোঁজ করে দেখতে পারেন। ফোবানা এইসব আইনভঙ্গকারীদের আইনগত ও আর্থিকভাবে মোকাবেলা করার যথেষ্ট সামর্থ রাখে এবং যথাসময়ে তা প্রকাশিত করতে বদ্ধপরিকর। গত ২৮ বছরের অর্জিত সম্মান এবং অজস্র মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত ফোবানা সংগঠনকে অল্পকিছু মানুষের ব্যক্তিলালসা বা স্বার্থের বলি হতে ফোবানা কোনভাবেই দেবে না।
ফোবানার জনপ্রিয়তার কারণে প্রতি বৎসর কিছু সুযোগসন্ধানী এই সম্মেলনের কিছুদিন আগে থেকে ফোবানার নাম ব্যবহার করে এবং ফায়দা লুঠতে চায়। এইসব মানুষগুলোকে সারা বৎসর কোথাও দেখা যায় না। সম্মেলনের কিছুদিন আগে থেকেই তারা ভাব দেখানো শুরু করেন যে, তারাই ফোবানার মালিক এবং হর্তাকর্তা। অথচ ফোবানা সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তারা কখনও পরিস্কারভাবে উত্তর দেন না। যেমন- তাদের সংগঠনের নাম কী, কোথায় তাদের রেজিস্ট্রেশন, ট্রেডমার্ক? তারা কি প্রতিবৎসর নিয়মিত ট্যাক্স দেন আই.আর.এস-কে? এই ব্যক্তিকেন্দ্রিক সংগঠনগুলোর অন্যতম লক্ষ্য ফোবানার নাম ব্যবহার করে টু-পাইস কামানো। গত বৎসর থেকে এই অন্যায় সুযোগ নেবার সবপথও ফোবানা বন্ধ করে দিয়েছে।
যেহেতু এখন ফোবানা ট্রেডমার্কের একমাত্র সত্ত্বাধিকারী, তাই এবার ফোবানা ঢাকাস্থ আমেরিকান দূতাবাসকে আগেভাগেই লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, ফোবানা কাউকে পি-৩ বা অন্যকোনো ভিসার জন্য স্পন্সর করে না। ফোবানা একটি তালিকা পাঠাবে দূতাবাসকে, যেখানে উল্লেখ থাকবে কারা এ বছর ফোবানার আমন্ত্রিত অতিথি। এর বাইরে ফোবানার নামে কাউকে যেন ভিসা দেয়া না হয়। ফোবানার এই আদম ব্যবসা আর ধোঁকাবাজির ব্যবসা বন্ধের উদ্যোগকে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস স্বাগত জানিয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ফোবানার কর্মকর্তারা ট্রেডমার্ক সংক্রান্ত দলিল তার হাত তুলে দেন এবং তাকে ফোবানা সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানান।
ফোবানা সম্পর্কে যেকোন তথ্য জানার জন্য কোনো উড়ো কথায় কান না দিয়ে সরাসরি ফোবানার ওয়েবসাইট দেখুনঃ www.fobanaonline.com
অথবা ফোবানার এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ও মুখপাত্র আজাদুল হকের সাথে যোগাযোগ করুনঃ fobanaec@gmail.com.
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৪