ঢাকা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদেরের দায়িত্বের মেয়াদ শেষে তাকে সম্মান জানিয়ে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ২৭ মে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘জেমস মনরো’ কক্ষে মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রাচার প্রধান রাষ্ট্রদূত পিটার সেলফ্রিজ, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিভিন্ন ব্যুরোর উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ কম্যুনিটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদেরকে স্ত্রী রিফাত সুলতানা আকরামকেও সম্মান জানানো হয়।
রাষ্ট্রাচার প্রধান পিটার সেলফ্রিজ তাঁর সূচনা বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত কাদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত বন্ধু উল্লেখ করে বলেন, রাষ্ট্রদূত কাদের তাঁর প্রায় পাঁচ বছরের বর্ণাঢ্য কর্মকাল শেষে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করছেন।
“তাঁকে বিদায় জানানোর কাজটি তাই নিঃসন্দেহে বেশ কঠিন ও অপ্রিয়। ”
পিটার সেলফ্রিজ এ সময় রাষ্ট্রদূত কাদেরকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন এফ কেরি স্বাক্ষরিত একটি কূটনৈতিক পত্র হস্তান্তর করেন।
পত্রে কেরি দু’দেশের বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করতে নিরলসভাবে কাজ করার জন্য রাষ্ট্রদূত কাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
বিদায় অনুষ্ঠানে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিশওয়াল বলেন, রাষ্ট্রদূত কাদেরের সুযোগ্য নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ দূতাবাস দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত কাদেরের কর্মকালীন সময়ে দু’দেশের সম্পর্কে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো- দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত অংশীদারিত্ব সংলাপ, নিরাপত্তা সংলাপ, সামরিক সংলাপের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর, বহুল আলোচিত টিকফা চুক্তি স্বাক্ষর এবং সফলভাবে প্রথম টিকফা কাউন্সিল সভার আয়োজন করা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ যাবৎকালে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের তাঁর বক্তব্যে বিগত প্রায় পাঁচ বছর তাঁকে সার্বিকভাবে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক সকল সাফল্যের পেছনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে, উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে দূতাবাসের যে অব্যাহত প্রয়াস, তাতে সহায়তা দেওয়ার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে সাধুবাদ জানান রাষ্ট্রদূত কাদের।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাঁর উত্তরসূরীকেও একইভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
বাংলাদেশ সময়:১৬৪৮ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৪