নিউইয়র্ক: জাতিসংঘের কমিশন অন দ্য স্টেটাস অব উইমেন (সিএসডব্লিউ) এর ৫৯তম সেশন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত সাইড ইভেন্টে বক্তারা নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমন্বিত কর্মসূচী বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
সিএসডব্লিউ’র চলতি সেশন ৯ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে যা ২০ মার্চ পর্যন্ত চলবে।
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেনের সঞ্চালনায় “নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলায় বহুমুখী কর্মসূচি” শীর্ষক আলোচনায় নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী, জিম্বাবুয়ের নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. পারপিটুয়া গাম্বো, ডেনমার্কের উপস্থায়ী প্রতিনিধি এরিক লরসেন, ইউএন-উইমেনের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক রোবার্তো ক্লার্ক এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এর আন্তর্জাতিক পরামর্শক সারা হেনড্রিক অংশ নেন।
বিভিন্ন দেশের সরকারী প্রতিনিধি, নারী অধিকার গ্রুপ, এনজিও, মিডিয়া প্রতিনিধি ও জনপ্রতিনিধি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বজুড়েই নারীর প্রতি সহিংসতা ঘটছে। যা ভিকটিম, তাদের পরিবার ও সমাজের প্রতি মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এর ফলে সমাজ ও বিশ্বের সামর্থ্য হ্রাস পাচ্ছে।
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ক্রাইসিস সেল, জাতীয় পর্যায়ে ডিএনএ চিহ্নিতকারী ল্যাবরেটরি, ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার এবং হেল্পলাইন সেন্টার বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এসব উদ্যোগকে টেকসই করার লক্ষ্যে আইন ও নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে ২০১৩-২০২৫ মেয়াদী একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বহুমুখী কর্মসূচীর কর্মকা- তুলে ধরে একটি ভিডিও উপস্থাপন করা হয়। বক্তারা নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃঢ়তার প্রশংসা করেন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে আলোচকরা আশা প্রকাশ করেন যে সমন্বিত আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে জোরদার করার মাধ্যমেই সমাজ থেকে নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূল করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময় ০১২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৫