ঢাকা: ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অর্গানাইজেশন্স ইন নর্থ আমেরিকার (ফোবানা) স্টলগুলোতে প্রতারণা বা আদম ব্যবসার কোনো সুযোগ নেই। ফোবানা সম্মেলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এর স্টলগুলো।
শনিবার (২১ মার্চ) এক বিবৃতিতে ফোবানার চেয়ারম্যান ডিউক খান এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে শুধু ফোবানার জন্য ডিজাইন করা শাড়ি, সালোয়ার কামিজ নিয়ে আসা হয়। যা বিক্রি হয় এখানকার স্টলগুলোতে। আর ফোবানায় আসা ক্রেতারা তা লুফে নেন। যারা প্রথমবারের মতো স্টল নেন তারা হয়তো ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেন না, কী ধরনের জিনিস বেশি বিক্রি হয়। তাই তাদের থেকে যারা প্রতি বছর যোগদান করেন তারা লাভবান হন বেশি।
বিবৃতিতে বলা হয়, আর এগুলো খুঁটিনাটি বিষয়কে কাজে লাগিয়ে প্রতি বছরই কেউ না কেউ ফায়দা লুটতে চায়। প্রতারণা বা আদম ব্যবসা করতে চায়। ফোবানাকে নিয়ে যাতে কেউ কখনো প্রতারণা, আদম বা ভিসা ব্যবসা না করতে পারে তাই ফোবানার পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, ফোবানা সম্মেলনের একটি অন্যতম জনপ্রিয় অংশ হলো স্টল বা বুথ। এতে প্রায় শতাধিক স্টলে সমাহার হয় হরেক রকমের পণ্যের। কয়েক শ’ অতিথি তিন/চার দিন ধরে থাকেন সম্মেলন সংলগ্ন হোটেলে। তারা সুযোগ অনুযায়ী এ স্টলগুলো পরিদর্শন করে কেনাকাটা করেন।
এ স্টলগুলোর বেশিরভাগই হয় বুটিক শপ যেখানে অত্যন্ত আকর্ষণীয় মূল্যে দারুণ সব ডিজাইনের শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, গহনা ইত্যাদি পাওয়া যায়। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে আগত দোকানদাররা এ স্টলগুলোকে করে তুলেছেন আরও বেশি আকর্ষণীয়।
এরমধ্যে একটি হচ্ছে ফোবানাতে বুথ বা স্টল নেওয়ার জন্য অন্য কারো সঙ্গে যোগাযোগ না করে ‘সরাসরি’ ফোবানার হোস্ট কমিটি ছাড়াও এবার থেকে ফোবানার সেন্ট্রাল কমিটিকেও স্টলের ভাড়া ডিপোজিট দিয়ে আমন্ত্রণপত্র সংগ্রহ করা যাবে।
সরাসরি হোস্ট কমিটির কনভেনর বেদারুল ইসলাম বাবলা অথবা মেম্বার সেক্রেটারি জাকারিয়া চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এছাড়া ফোবানার সেন্ট্রাল কমিটির চেয়্যারম্যান ডিউক খান অথবা এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আজাদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারাও এ ব্যাপারে সব রকম সহযোগিতা করবেন।
ফোবানার পক্ষ থেকে কখনোই আমেরিকান ভিসা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করা হয় না, হবেও না উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফোবানার পক্ষ থেকে আমেরিকান ভিসা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় না। কারণ এটা আমেরিকান দূতাবাস ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটির একক এখতিয়ার। তাই যদি কেউ আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পরও ভিসা না পান বা অন্য যে কোনো কারণে ফোবানা সম্মেলনে আসতে না পারেন, তবে সম্মেলনের ৩০ দিন আগে ফোবানা সেন্ট্রাল কমিটিকে জানালে তারা তাদের ডিপোজিট করা অর্থ ফেরত পেয়ে যাবেন। তাদের শুধু মানি ট্রান্সফারের ফি টুকু দিতে হবে। যারা ফোবানা সেন্ট্রাল কমিটির মাধ্যমে স্টল বুকিং দেবেন শুধু তারাই এ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
যারা হোস্ট কমিটির মাধ্যমে স্টল বুকিং দেবেন তারা সরাসরি হোস্ট কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এতে তারা ডিপোজিট করা অর্থ ফেরত পাবেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতারক চিহ্নিত করার প্রথম লক্ষণ হলো যদি কেউ টাকার বদলে আমেরিকার ভিসা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর থেকে সহজ আর কোনো পথ নেই প্রতারক চিহ্নিত করার। আমেরিকার কোনো নাগরিক, ব্যবসায়ী তো বহুদূরের কথা, কোনো সিনেটর, কংগ্রেসম্যান/ওম্যানও বেআইনিভাবে কোনো একজন মানুষকে আমেরিকার ভিসা দিতে পারে না। এর জন্য নির্ধারিত এবং আইনি পদক্ষেপ আছে।
আরও বলা হয়, ফোবানার স্টল বুক করা, আমেরিকার ভিসা ফরম পূরণ করা, টিকেট কাটা, হোটেল বুক ইত্যাদি কাজ করার জন্য যদি কোনো ট্রাভেল এজেন্সি বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সার্ভিস ফি দিতে বলে, তবে তা বেআইনি বলা যাবে না। কারণ এটা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু এ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই ফোবানাকে জড়ানো যাবে না।
ফোবানা একটি ‘অলাভজনক’ প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে ডিউক খান বলেন, এখানে কেউ ব্যবসা করতে আসেনি এবং ব্যবসা করার কোনো সুযোগ নেই। কর্তৃপক্ষ যত পদক্ষেপই নেয় না কেন, তারপরও কেউ না কেউ প্রতারিত হতেই পারেন। কারণ এখনো অনেক ব্যবসায়ী আছেন বাংলাদেশে যারা নিজেরা এ জাতীয় কাজ করতে সক্ষম বা অভিজ্ঞ নন।
ফোবানা কর্তৃপক্ষ তাদের সাহায্য করতে চায়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে-
ডিউক খান
চেয়ারম্যান, ফোবানা
E-mail: dukekhan@gmail.com
আজাদুল হক
এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি, ফোবানা
E-mail: fobanaec@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৫