ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

মধু চুরি মামলার প্রধান আসামি ভাল্লুক!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৬
মধু চুরি মামলার প্রধান আসামি ভাল্লুক!

সংরক্ষিত প্রাকৃতিক মৌ-চাষ কেন্দ্র ও সংগ্রহশালা থেকে মধু চুরি সম্পর্কিত একটি মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে একটি কালো ভাল্লুককে। চুরি করার সময় ইনফ্রারেড ক্যামেরায় চিহ্নিত হওয়ার পর আসামি হয় ভাল্লুকটি।

 

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ইউনান প্রদেশের ঘটনা এটি।  

গাওলিগং পাহাড়ের ওই সংরক্ষিত জাতীয় কেন্দ্রটির কর্মকর্তা দ্বি ঝেং জানান, ভাল্লুকটি সম্প্রতি এক রাতে স্থানীয় একজন কৃষকের মৌমাছিশালায় হানা দেয়। একটি মৌ-বাক্সের মধু চুরি করে পালিয়ে যায়। মধুচক্র ও মধুবাহী পিপেগুলোর কয়েকটিরও ক্ষতি হয়েছে এ হামলায়।  

প্রাকৃতিক মৌ-চাষ কেন্দ্রটির কর্মীরা পরে চুরির ঘটনাটি রেকর্ড করা একটি ইনফ্রারেড ক্যামেরার ফুটেজ খুঁজে পান। তা দেখে  ‘চোর’ কে তা শনাক্ত করেন তারা এবং এভাবে মামলাটির নিষ্পত্তি হয়।  

বেশ কয়েকদিন মধু চুরির পর কাছের একটি গাছে গোপন ক্যামেরাটি স্থাপন করে চুরির ঘটনা রেকর্ড করা হয়।

কেন্দ্রটির কর্মীরা কালো ভাল্লুকটির পায়ের ছাপ পেয়েছিলেন প্রমাণ হিসেবে। মৌমাছিশালার কাছে পিপের মধ্যে এর মলও পাওয়া যায়। কিন্তু মামলাটির নিষ্পত্তি হচ্ছিল না প্রত্যক্ষ প্রমাণের অভাবে। সপ্তাহ খানেক পরে তারা কাছের একটি গাছে ক্যামেরা‍টি স্থাপন করে প্রমাণ পেলে এর সমাধান নিশ্চিত হয়।

ফুটেজে দেখা গেছে, ভাল্লুকটি তার মুখ দিয়ে মৌ-বাক্সের ঢাকনা খুলে ফেলে। মৌমাছির ঝাঁক বাইরে বের হয়ে এলে পালিয়ে যায় সে। মৌমাছিরা পালিয়ে গেছে নিশ্চিত হওয়ার পর ফিরে আসে। এরপর মধুভর্তি কাঠের পিপে নিয়ে পালিয়ে যায়।

দ্বি ঝেং বলেন, চীনের দ্বিতীয় শ্রেণীর পশু হিসেবে সংরক্ষিত কালো ভাল্লুকদের খাদ্য খোঁজা ও শীতযাপনের প্রস্তুতির মৌসুম এখন।

স্থানীয় কৃষকদের ছাগল, ভূট্টা ও মধু প্রায়ই পশুদের শিকারে পরিণত হচ্ছে। এসবের আরও বেশি নিরাপত্তা বিধান এবং ভাল্লুকের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৬
এএসআর/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।