ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

প্রাগৈতিহাসিক মস্তিষ্ক অস্ত্রোপচার!

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৬
প্রাগৈতিহাসিক মস্তিষ্ক অস্ত্রোপচার!

হাজার হাজার বছর আগে প্রাচীন মানুষেরা ‘ট্রেপান্‌টেশন’ নামক একটি পদ্ধতিতে সার্জারি করতো, যার মাধ্যমে একজন মানুষের মস্তিষ্কের খুলির গর্ত জোড়া লাগানো হতো।

হাজার হাজার বছর আগে প্রাচীন মানুষেরা ‘ট্রেপান্‌টেশন’ নামক একটি পদ্ধতিতে সার্জারি করতো, যার মাধ্যমে একজন মানুষের মস্তিষ্কের খুলির গর্ত জোড়া লাগানো হতো।

প্রাগৈতিহাসিক শিকারি মানুষের খুলিতে প্রায়ই তীরের আঘাতে গর্ত তৈরি হতো।

এ পদ্ধতির অস্ত্রোপচার গর্তটি ভরাটের জন্য করা হতো। অন্য মানুষদের মস্তিষ্কেরও একই অঞ্চলে করোটি সংক্রান্ত জখম বা স্নায়বিক রোগের লক্ষণ পরীক্ষা ও তা দূর করতে এ সার্জারি করতেন আমাদের পূর্বপুরুষ শল্যবিদরা।

৭০০০ বছর আগে থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত এ ধরনের অস্ত্রোপচার চালু ছিল প্রাচীন গ্রীস, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা এবং পলিনেশিয়াসহ দূরপ্রাচ্যের বিভিন্ন স্থানে। আলাদা আলাদা অঞ্চলের প্রাগৈতিহাসিক  মানুষেরা সম্ভবত একাধিক স্থানে স্বাধীনভাবে অনুশীলন করে এ পদ্ধতিকে উন্নতও করেছিল।

প্রত্নতত্ত্ববিদরা ‘ট্রেপান্‌টেশন’ এর বেশকিছু প্রমাণ পাওয়ার পর গবেষণা করে জানান, এটি একটি অশোধিত অস্ত্রোপচার পদ্ধতি। করাতের মতো একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে মস্তিষ্কের খুলির হাড়ের স্তরে ছিদ্র করা ও চাঁচা হতো, যার মাধ্যমে মানুষের মস্তকের একটি গর্ত দূর করে পরে সেলাই করে জোড়া লাগানো হতো।

তখনকার মানুষের একটি বিরাট অংশ সারা বিশ্বে ‘ট্রেপান্‌টেশন’ চর্চা করতো বলেও ধারণা প্রত্নতত্ত্ববিদদের। কেননা, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক অঞ্চল থেকে অস্ত্রোপচার করা হাজার হাজার মাথার খুলি আবিষ্কৃত হয়েছে।

হাজার হাজার বছর চালু থাকার পর এ পদ্ধতির অস্ত্রোপচার মধ্যযুগের শেষ নাগাদ অধিকাংশ স্থানে পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে আফ্রিকা ও পলিনেশিয়ার কিছু অংশে ঊনবিংশ শতাব্দীতেও মাথার ট্রমা বা স্নায়বিক রোগের কারণে সৃষ্ট ব্যথার চিকিৎসায় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু অপারেশন হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।