ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

যানজটে আটকে গেলে উড়ে চলে যাবে গাড়ি

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮
যানজটে আটকে গেলে উড়ে চলে যাবে গাড়ি বিশ্বের সর্বপ্রথম উড়ন্ত গাড়ি, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সড়কপথে চলতে যানজট বা রাস্তাঘাটের সমস্যায় পড়লেই উড়ে চলে যাওয়ার কৌতুহল মনে আসে অনেকের। তখন গাড়িতে বসে বসে এমনটিই ভাবা হয়- ইসস... এখন যদি উড়ে চলে যাওয়া যেতো! কিন্তু ওইসময়ে উড়ে যাওয়া কি সম্ভভ? এর উত্তরে সবাই একাট্টা না বললেও এখন এটাই সম্ভব হতে যাচ্ছে।

কেননা, শিগগিরই প্রযুক্তির বাজারে আসছে বিশ্বের সর্বপ্রথম উড়ন্ত গাড়ি। এখন যানজট বা এ ধরনের কোনো সমস্যায় পড়লেই গাড়িটি উড়ে চলে যাবে তার গন্থব্যে।

দুই সিটের হাইব্রিড ইলেকট্রিকের এ যানটি এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে সড়কপথে চলাচল এবং উড়ন্ত গাড়িতে রূপান্তর করা যাবে। প্রয়োজন পড়লেই খুব অল্প সময়ের মধ্যে ‘হেলিকপ্টারে’ রূপ নেবে গাড়িটি আর উড়ে গিয়েই জয় করবে সে প্রতিকূলতা।

আসছে অক্টোবরেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ গাড়িটির প্রাক-বিক্রয় শুরু হবে। আর ২০১৯ এর শুরুর দিকেই গ্রাহকদের কাছে পোঁছে যাবে মনের মধ্যে তাক লাগিয়ে দেওয়া উড়ন্ত গাড়িটি।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, গাড়িটির প্রস্তুতকারক চীনের নামকরা কোম্পানি থেরাফোগিয়া। আর এ কোম্পানিটি ভলবো’র প্যারেন্ট শাখারও অন্তর্গত।

স্বনামধন্য এ কোম্পানির প্রস্তুত করা উড়ন্ত গাড়িটি আসলে বিশ্ব বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করবে বলে প্রযুক্তিবিদরা ধারণা করছেন। এ নিয়ে এখনই উত্তেজনাও শুরু হয়ে গেছে। উড়ে যাচ্ছে বিশ্বের সর্বপ্রথম গাড়িটি, ছবি: সংগৃহীতজানা গেছে, গাড়িটি সড়কপথে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার (১০০ মাইল) সর্বোচ্চ গতিতে চলবে। আর ‘হেলিকপ্টার’ হিসেবে এটি আকাশে উড়বে ঘণ্টায় ৬৪০ কিলোমিটার (৪০০ মাইল) গতিতে।

চীনের একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, অত্যাধুনিক এ প্রযুক্তিটির দাম নির্ধারণ করা হয়নি। তবে শিগগিরই মূল্য জানানো হবে। কেননা, অক্টোবরেই এর প্রাক-বিক্রয় শুরু হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে থেরাফোগিয়া বলছে, গাড়িটিতে সাম্প্রতিক সময়ে উন্নত করা হাইব্রিড ইলেকট্রিকের মোটর সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে অত্যাধুনিক সিট ও লাগেজ স্টোরেজ। সেইসঙ্গে উন্নত সিট এবং এয়ার বেল্টও রয়েছে গাড়িটিতে।

‘গাড়িতে পেছনের দিকে ভিউ ক্যামেরা রয়েছে। এছাড়া একটি নতুন প্যারাশুট সিস্টেম আছে এতে। যা চালু করলেই অতিরিক্ত শক্তি সঞ্চার করে আকাশে উড্ডয়নের প্রস্তুতি নেবে গাড়িটি। ’

প্রস্তুতকারক কোম্পানি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ২০১৬ সালে আমাদের এ গাড়িটিকে হালকা স্পোর্টস এয়ারক্রাফট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। তবে গাড়িটি চলাচলে লাইসেন্সের প্রয়োজন রয়েছে। দ্রুত গতিতে চলছে বিশ্বের সর্বপ্রথম উড়ন্ত গাড়ি, ছবি: সংগৃহীত‘গাড়িটির ওজন এক হাজার ৩০০ পাউন্ড। এর ফিক্সড ল্যান্ডিং গিয়ারও রয়েছে। সেইসঙ্গে ‘হেলিকপ্টারটি’ সমুদ্রপিষ্ঠ থেকে প্রায় এক হাজার ফুট উঁচুতে উড়তে পারবে। ’

থেরাফোগিয়া জানায়, টিএফ-এক্স মডেলে পরিকল্পিত এ গাড়িটিতে চারজন মানুষ আরোহন করতে পারেবন। এছাড়া এটি উড্ডয়নের ক্ষেত্রে ইঞ্জিনের সবকিছু থাকবে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত। শুধু একজন এটা পরিচালনা করতে হবে। পাশাপাশি এটি অবতরণ করার জন্য কোনো বিমানবন্দরের প্রয়োজন হবে না। যেকোনো সমতল জায়গা বা সড়ক-মহাসড়ক বেছে নেওয়া যেতে পারে এর অবতরণে।

এর আগে এ বছরের জুলাইয়ে কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী (সিইও) ক্রিস জারন বলেছিলেন, এই নতুন প্রযুক্তির বিকাশে আমরা অনেক বড় বড় সিস্টেম ব্যবহার করেছি। আশা করছি সিস্টেমগুলো সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।